𓆉 দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জারি করা সমন বাতিল করার আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
🥀উল্লেখ্য, অতীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও তাঁর পেশ করা শিক্ষা সংক্রান্ত শংসাপত্রের সত্যাসত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কেজরিওয়াল। যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রুজু করে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়। সেই মামলার ভিত্তিতে কেজরিওয়ালকে সমন পাঠানো হয়।
✤সেই সমন বাতিল করার আবেদন জানিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল আদালত।
ඣএদিন বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট আবেদন খারিজ করার সময় এই সংক্রান্ত আরও একটি ঘটনার উপর গুরুত্ব আরোপ করে। উল্লেখ্য, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় যে মানহানির মামলা রুজু করেছে, সেই একই মামলায় অপর অভিযুক্ত হলেন আম আদমি পার্টিরই নেতা সঞ্জয় সিং।
♕তিনিও এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন। কিন্তু, গত এপ্রিল মাসে সঞ্জয়ের সেই আবেদন শীর্ষ আদালত খারিজ করে দেয়।
🔯এদিনের বেঞ্চের অপর সদস্য হিসাবে ছিলেন বিচারপতি এসভিএন ভাট্টি। বেঞ্চের তরফে মন্তব্য করা হয়, 'মামলাকারীর (গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়) পদক্ষেপের সাপেক্ষে আবেদনকারী যে আর্জি জানিয়েছেন, সেই ঘটনার সঙ্গে কেবলমাত্র তিনি একাই যুক্ত নন। যুক্ত রয়েছেন সঞ্জয়ং সিংও। যাঁর আবেদন গত ৮ এপ্রিল (২০২৪) এই আদালতেই খারিজ হয়ে গিয়েছে। আমাদের আদালতের সেই অবস্থানের সঙ্গেই সামঞ্জস্য বিধান করে চলতে হবে।'
🍰এরপর আর কেজরিওয়ালের করা আবেদনের 'মেরিট' খতিয়ে দেখেনি শীর্ষ আদালত। বদলে বেঞ্চ তার বক্তব্য স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। বলে, 'আমরা এই আবেদন গ্রহণ করতেই পারি না। তাই এটি খারিজ করা হল।'
ꦕএদিন কেজরিওয়ালের হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করতে এসেছিলেন প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের আবেদনটি সঞ্জয় সিংয়ের আবেদনের থেকে ভিন্ন।
🙈জবাবে বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, আদালত আবেদনকারীর যুক্তিসমূহ অবশ্যই শুনতে আগ্রহী। কিন্তু, একবার সেই প্রক্রিয়া শুরু হলে কেজরিওয়াল আর তাঁর আবেদন প্রত্যাহার করার অনুমতি পাবেন না।
𓂃সিংভির যুক্তি ছিল, কেজরিওয়ালের করা সরাসরি কোনও মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এই মানহানির মামলা করা হয়নি। বরং, তিনি দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তির সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রামাণ্য শংসাপত্র গোপন রাখার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেছিলেন।
💝সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়েরই এগিয়ে এসে তথ্য প্রকাশ করা উচিত ছিল। তাদের স্বীকার করে নেওয়া উচিত ছিল যে তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা লাভ করা এক ব্যক্তিই প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
𒁃জবাবে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি তথা রেজিস্ট্রার পীযূষ প্যাটেলের আইনজীবী তুষার মেহতা জানান, ইতিমধ্যেই ওই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট ডিগ্রির নথি আপলোড করা হয়েছে।