আব্রাহাম থমাসসুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছে Electoral bond বা নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত মামলাটি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর ব্যাপারে যে আবেদন করা হয়েছিল তা ফের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তোলা হবে। এদিকে সেই ২০১৫ সাল থেকে ইলেকটোরাল বন্ড সংক্রান্ত বিষয়টি শীর্ষ আদালতের বিবেচনাধীন রয়েছে। এনিয়ে আবেদন করেছিল অ্য়াসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস সহ অন্যান্য়রা।কর্পোরেট সহ বিভিন্ন সোর্স থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সরকার বিভিন্ন সময় যে অনুমোদন দিয়েছিল তাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন অনেকেই। পাঁচজন বিচারকের বেঞ্চে বিষয়টি তোলার জন্য আবেদন করেছিল এডিআর। এনিয়ে বিচারপতি বিআর গাভাই আর বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য সবার মতামত শুনতে হবে।আদালতের বিচারপতিদের বেঞ্চ জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এই বিষয়টির শুনানির দিন ঠিক করেছে। জানানো হয়েছে, কাছের ভোটটা কবে? আমাদের মনে হয় না দু তিন মাসের মধ্যে কোনও নির্বাচন আছে?এদিকে এডিআরের পক্ষে অ্য়াডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ জানিয়েছিলেন, দ্রুত এই বিষয়টির শুনানি করা হোক। আদালত অ্য়াডভোকেট ভূষণকে জানিয়েছে, যখন সেই ২০১৫ সাল থেকে আবেদনটি পড়ে রয়েছে তখন আপনার অত তাড়াহুড়োর কিছু নেই।এদিকে গত বছর পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অসম, কেরল, পন্ডিচেরিতে ভোটের আগে এডিআর আদালতে জানিয়েছিল, ইলেকটোরাল বন্ড বিক্রির ব্যাপারে স্থগিতাদেশ জারি করা হোক।তবে সেই আদালত কোনও নির্দেশ দিতে চায়নি।এদিকে ২০১৯ সালের একটি নির্দেশের কথা উল্লেখ করেছিল আদালত।যেখানে আদালত জানিয়েছিল কারা এই বন্ড কিনেছে তাদের বন্ড পলিসি সিল করা খামে দেওয়ার হোক। তবে এডিআর জানিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলিকে ঘুষ দেওয়ার অন্য়তম প্রথা হল এই ইলেকটোরাল বন্ড।ইলেকটোরাল বন্ডটা কী?যে কোনও ভারতীয় নাগরিক বা কোম্পানি এই বন্ড কিনতে পারেন। স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে এগুলি কেনা যায়।এরপর সেগুলি তার পছন্দের রাজনৈতিক দলকে দেওয়া যায়। এরপর রাজনৈতিক দল তা ভাঙিয়ে নিতে পারে ইচ্ছেমতো।