বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বিদায়ী অনুষ্ঠানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তাঁকে ভাষণ দিতে দেওয়া হয়নি অভিযোগ জানিয়ে প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডেকে চিঠি লিখলেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দুষ্মন্ত দা🧔ভে।
দাভের অভিযোগ, ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তাঁকে ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্র𓆏ণ পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁকে পাঠানো লিঙ্ক ব্যবহার করে তিনি যথা সময়ে লগ ইন-ও করেন। কিন্তু ইচ্ছাকৃত তাঁর মাইক্রোফোন মিউট করে দিয়ে তাঁকে ভাষণ দিতে দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, রীতি অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতি অবসর নিলে তাঁর বিদায়ী অনুষ্ঠানে শী🧸র্ষ আদালতে কর্মরত আইনজীবীদের প্রতিনিধি হিসেবে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির উপস্থিতি এবং🎃 ভাষণ দেওয়া দস্তুর।
প্রধান বিচারপতিকে ল🦩েখা চিঠিতে দাভে জানিয়েছেন, ‘আমি জানাতে চাই যে, আজ বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বিদায়ী অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা নিন্দনীয় ও হতাশাজনক। গোটা ঘটনা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণꩲ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ও একজিকিউটিভ কমিটির তরফে আমার ভাষণ রোধ করার জন্যই গোটা ঘটনা সৃষ্টি করা হয়েছিল। আমন্ত্রণ জানানো এবং তা স্বীকার করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেও এই আচরণ বার অ্যাসোসিয়েশন এবং ব্যক্তিগত ভাবে আমার প্রতি প্রতিকূলতার পরিচায়ক।’
বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফেও বিচারপতি অরুণ মিশ্রকে পৃথক বিদায়ী স꧋ম্বর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে বিবেকের তাড়নায় কোনও বিদায়ী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে অস্বীকার করেন বিচারপতি।
বুধবার দুপুর ১২.২০ টায় ভিডিয়ো কনফারেন্সিং মারফৎ সুপ্রিম কোর্টের বিদায়ী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে লগইন করেন দুষ্মন্ত দাভে। প্রথম দিকে তাঁকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগꩵোপাল ও সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গে কথাবার্তায় মেতে উঠতে দেখা যায়।
দাভের অভিযোগ, অনুষ্ঠানে কে কে 🏅বেণুগোপাল এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিবাজি যাদবকে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর পরেই তাঁর মাইক্রোফোন অচল করে দেওয়া হয়।
তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে সেক্রেটারি জেনারেল সঞ্জীব কলগাঁওকরের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করলেও সময়মতো কোনও সাড়া পাননি। পরে দুপুর ১.০২ নাগাদ কলগাঁওকর তাঁকে জানান, বিষয়টি দেখতে তিনি রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দ𒅌িয়েছেন। কিন্তু তত ক্ষণে অনুষ্ঠান থেকে লগ অফ হয়য়েছিলেন দাভে।