ভারত-মায়ানমার আন্তর্জাতিক 🧸সীমান্তে মণিপুরের বিদ্রোহীদের নিয়ে গঠিত একটি যৌথ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গত তিনদিন ধরে লাগাতার গুলির লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কুকি ন্যাশনাল আর্মি-বার্মা (কেএনএ-বি)। এই আবহে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীও বিদ্রোহী দমন অভিযান আরও জোরদার করেছে। যার ফলে মণিপুরজুড়ে বিভিন্ন নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর মোট ১২ জন বিদ্রোহীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
অসমর্থিত বিভিন্ন সূত্র ও তথ্য থেকে যে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুসারে - গত ২৭ জানুয়ারি মায়ানমারের উত্তর মিন-থারে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-এর নেতৃত্বে মণিপুরের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি এবং মায়ানমারের গোপন সংগঠন কেএনএ-বি-এর মধ্যে গ🍰ুলির লড়াই শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি জারি করেছে নিষিদ্ধ সংগঠন রেভোলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট (আরপিএফ) এবং পিএলএ। সেই বিবৃতিতে তাদের দাবি, মণিপুর-মায়ানমার সীমান্তের কাছে যে সংঘর্ষ চলছে, তাতে🅺 তাদের এক ক🌟্যাডার আহত হন। এবং পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
অসমর্থিত সূত্রগুলি থেকে আরও জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে সংঘর্ষের পর আরপিএফ/পিএলএ-এর নেতৃত্বে মণিপুরের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি কেএনএ-বি প্রতীকচিহ্ন-সহ যুদ্ধের পোশা♊ক পরা মোট ন'টি মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। তারা ঘটনাস্থল থেকে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, তাজা গোলাব🍰ারুদ, বিস্ফোরক এবং যুদ্ধের অন্য়ান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এই বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে, কামজং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা সরকারিভাবে এই ঘটনা নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারবে না। কারণ, ওই এলাকা তাদের অধীনে পড়ে না। তবে,💞 তারা মায়ানমার-মণিপুর সীমান্তের কাছে কেএনএ-বি এবং মণিপুরের সন্দেহভাজন বিদ্রোহীদের মধ্যে স꧂শস্ত্র সংঘর্ষের খবর পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয🤪়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি এই লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ জন কেএনএ-বি ক্যাডার নিহত হয়েছে।
এদিকে, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ভারত-মায়ানমার সীমান্তে, বিশেষ করে মণিপুরের তেংনৌপাল জেলার ৮৫ নম্বর সীমান্ত স্তম্ভ থেকে ৮৭ নম্বর সীমান্ত স্তম্ভের মধ্যেকার এলাকায় বিদ্রোহী 🌟দমন অভিযান জোরদার করেছে।
গত ২৮ জানুয়ারি ভারতীয় বাহিনী মণিপুরের তিন বিদ্রোহীকে গ্রেফতারꦑ করে। যাঁদের মধ্যে কাংলেই ইয়াওল কান্না লুপ (কেওয়াইকেএল)-এর দুই ক্যাডার এবং ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্র🌃ন্ট-কোয়েরেং গোষ্ঠীর (ইউএনএলএফ-কোয়েরেং) একজন সদস্য রয়েছেন।
উপরন্তু, মণিপুর পুলিশের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাহিনীর একটি যৌথ বিদ্রোহী বিরোধী অভিযানে, গত ৭২ ঘন্টায় মণিপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বিদ꧑♎্রোহী গোষ্ঠীর মোট ১২ জন ক্যাডারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।