দেশে চলছে লোকসভা নির্বাচন। এরই মধ্যে আরও একটি ব𓄧ড় নির্বাচনে জয়ী হলেন প্রবীণ আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল। সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের (এসসিবিএ) নির্বাচনে ১০৬৬ ভোট পেয়ে জয়ী হলেন এই প্রবীণ আইনজীবী। বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদের জন্য তিনি ভোটে লড়েছিলেন। এই অবস্থায় জয়ী হওয়ার পর চতܫুর্থ বারের জন্য তিনি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কপিল সিব্বলকে শুভেচ্ছা জানান। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও শুভেচ্ছা জানান কপিল সিব্বলকে।
আরও পড়ুন: এজলাসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন কপিল সিব্বল, শুনানি থামিয়ে সাহায্য করলেন CJI চন্𝐆দ্রচূড়
মমতা বন্🐈দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘প্রচুর ভোটের ব্যবধানে জয়ী হওয়ার জন্য কপিল সিব্বলজি’কে অভিনন্দন। আমাদের আইন জগতের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে আমাদের সকলের সমর্থনে আপনার জয় আমাদের গর্বিত কর🌳েছে। আমাদের সকলের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যান।’
এই নির্বাচনে কপিল সিব্বলের প্রতিদ্বন্দ্বী তথা প্রবীণ আইনজীবী প্রদীপ রাই ৬৮৯টি ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও বিদায়ী সভাপতি তথা প্রবীণ আইনজীবী ডক্টর আদিশ সি আগরওয়াল পেয়েছেন ২৯৬ টি ভোট। এছাড়াও, সভাপতি পদের জন্য অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন প্রিয়া হিঙ্গোরানি, ত্রিপুরারি রায় ও নীরজ শ্রীবাস্তব। এর আগে কপিল সিব্বল ১৯৯৫-৯৬ ও ১৯৯৭-৯৮ সালে এবং ২০০১ সালে সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। ২৩ বছর পর আবার সভাপতি নির্বাꦅচিত হলেন কপিল🃏 সিব্বল।
উল্লেখ্য, তিনি ৮ মে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদের জন্য নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।উচ্চ শিক্ষিত সিব্বল হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে আইনে স্নাতক করেছেন। ১৯৮৯-৯০ সালে ভারতের অতিরিক্ত সলিꦜসিটর জেনারেলের দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৮৩ সালে একজন সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসাবে মনোনীত হন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বল।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘কপিল সিব্বল বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এটা ধর্মনিরপেক্ষ, গণতন্ত্র♛ এবং প্রগতিশীল শক্তির জন্য একটি বড় জয়। এটি হল ট্রেলার। দেশেও খুব শীঘ্রই ক্ষমতার পরিবর্তন হবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল বার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটিতে কিছু পদ মহিলা সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত করতে হবে। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ বলেছিল, এসসিবিএ একটি প্রধান সংস্থা। এটি দেশের সর্বোচ্চ বিচার বিভাগীয় ফোরামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই বারের মহিলা সদস্যদের জন্য সংরক্♛ষণ রাখতে হবে।