গতকাল নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। সেই সময় শুনানি থামিয়ে তাঁকে সাহায্যের প্রস্তাব দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এমনকী কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও কপিল সিব্বলকে সাহায্যের প্রস্তাব দেন। শেষে কপিল সিব্বল জাস্টিস চন্দ্রচূড়ের প্রস্তাব মেনে নেন। (আরও পড়ুন: 'চোখে কান্না দেখছেন? 🔯তাহলে **** কথা বলছেন কেন?' সাংবাদিককে ধমক মহুয়ার)
রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল নির্বাচনী বন্ড মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পর আইনজীবী কপিল সিব্বলকে দেখতে পাননি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই সময় কবিল সিব্বলের দলের তরফ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে কিছু বলা হয়। ꦇজাস্টিস চন্দ্রচূড়ও জানতে চান, কী হয়েছে। জবাবে তুষার মেহতা বলেন, কপিল সিব্বলের ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা হয়েছে। তা মামলার সঙ্গে যুক্ত নয়। এরপর মামলার শুনানি শুরু হয়। এর একটু পরে কপিল সিব্বল এজলাসে প্রবেশ করেন। সেই সময় আদালতকে তুষার মেহতা জানান, কপিল সিব্বল অসুস্থ। এরপর কপিলকে নিজের অফিসে গিয়ে সেখান থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দেন তুষার মেহতা। কপিল সিব্বলের জন্য চা এবং স্ন্যাক্সের ব্যবস্থা করে দেবেন বলেও জানান তুষার মেহতা। সেই সময়ই সাহায্যের প্রস্তাব দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ও। তিনি বলেন, প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুম থেকে ভিডিয়ো লিঙ্কের মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দিতে পারেন কপিল সিব্বল।
এই মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হল, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোন দলের পকেটে কত টাকা ঢুকেছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে সেই সংক্রান্ত যাবতীয় হিসেব জমা দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোন ⛦দল কত টাকা পেয়েছে, সেই তথ্য একটি বন্ধ খামে ভরে জমা দিতে হবে শীর্ষ আদালতে। এদিকে এই মামলার রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট একটি নির্দেশে জানিয়েছিল, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোন দল কত টাকা পাচ্ছে, সেই তথ্য জমা রাখতে হবে। সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল তথ্য জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত।
এর আগে গত পরশু সরকার দাবি করেছিল, নির্বাচনে কালো টাকা রুখতেই নাকি নির্বাচনী বন্ডের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতকে বলা হয়েছিল, নির্বাচনী বন্ডের তথ্যের বিষয়ে জানার অধিকার নেই আম নাগরিকের। সাংবিধানিক ব💞েঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার আগেই কেন্দ্রের তরফ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমনি রবিবার শীর্ষ আদালতকে বলেছিলেন, 'নির্বাচনী বন্ডের টাকা কোথা থেকে আসছে, তা জানার অধিকার আম নাগরিককে দেয়নি সংবিধান।' এই আবহে আপাতত এই মামলার রায়দান স্থগিত রেকেছে শীর্ষ আদালত।