সেটিং? নাকি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) মজা লুটলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আকাশ আম্বানি? আইপিএল নিলামের মধ্যেই ‘হ্যান্ডশেক’ নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হল। আসলে সোমবার ‘বিডিং’ যুদ্ধের পরেে উইল জ্যাকসকে দলে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু গত🐓বার জ্যাকস আরসিবির খেলোয়াড় হওয়ায় বিরাট কোহলিদের ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তারা ‘রাইট টু ম্যাচ’ (আরটিএম) কার্ড ব্যবহার করবে কিনা। তো আরসিবি ম্যানেজমেন্টের তরফে জানানো হয় যে তারা আরটিএম কার্ড ব্যবহার করবে না। ফলে ইংরেজ ব্যাটারকে দলে পেয়ে যায় মুম্বই। আর তারপরই নিজের চেয়ার উঠে গিয়ে আরসিবি কর্তাদের সঙ্গে করমর্দন (হ্যান্ডশেক) করেন।
‘পুরো জোকার’, কটাক্ষের মুখে RCB ম্যানেজমেন্ট
আর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নানা মুনি নানারকম মত দিয়েছেন। এক নেটিজেন বলেন, 'এমনই সাংঘাতিক ভুল যে🦩 আকাশ আম্বানি চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে আরসিবির টেবিলে হেঁটে গিয়ে বলছেন যে ধন্যবাদ। পুরো জোকার।' অপর এক নেটিজেন বলেন, 'টিম ডেভিডের পিছনে ছুটল আরসিব🍌ি। আরটিএম ছিল। কিন্তু উইল জ্যাকসের ক্ষেত্রে সেটা ব্যবহার করল না। সেজন্য আরসিবিকে ট্রোল করলেন আকাশ আম্বানি।'
সেটিং? নানা তত্ত্ব দেওয়া হল
কেউ-কেউ আবার নানারকম তত্ত্ব দ𒉰িতে থাকেন। এক নেটিজেন বলেন, 'উইল জ্যাকসের জন্য আরটিএম ব্যবহার না করায় আরসিবি ম্যানেজমেন্টের (লোকেদের) জড়িয়ে ধরছেন আকাশ আম্বানি। আরসিবি ম্যানেজমেন্টকে কিনে নিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।' একইসুরে এক নেটিজেন আবার বলেন, ‘ফিক্সিং শুধু মাঠে হয় না। দেখে মনে হচ্ছে যে নিলাম♍ের সময়ও হয়।’
অহেতুক তত্ত্ব, দাবি একাংশের
যদিও সেইসব তত্ত্⛄ব খারিজ করে দিয়েছেন অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, মুম্বই ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিতভাবে ভেবেছিল যে জ্যাকসের জন্য আরও বেশি টাকা খরচ করতে হবে। ৫.২৫ কোটি টাকায় ‘বিডিং’ শেষ হওয়ার পরে আরও বেশি দর হাঁকবে আরসিবি। সেক্ষেত্রে জ্যাকসকে নিতে আরও বেশি টাকা বেরিয়ে যাবে বা আরসিবি এমন দর হাঁকবে যে মুম্বই আর💃 নিতে পারবে না। কিন্তু সেটা না হওয়ায় স্রেফ 'স্পোর্টসম্যান স্পিরিট'-র জন্যই আরসিবি কর্তাদের সঙ্গে আকাশ হাত মিলিয়েছেন বলে দাবি করেছেন অনেকে।
যত RTM কাণ্ড আকাশের সঙ্গেই!
তবে আকাশের ক্ষেত্রে আরও একটি আরটিএম কাণ্ড হয়েছে। শারমার জোসেফকে নেওয়ার জন্য ‘দর’ হেঁকেছিল মুম্বই। যিনি আগে লখনউ সুপার জায়ান্টসে খেলতেন। সেইমতো 🌃অকশনার মল্লিকা সাগর লখনউ ম্যানেজমেন্টের কাছে তারা আরটিএম কার্ড ব্যবহার করবে কিনা।
তো সঞ্জীব গোয়েঙ্কারা সম্মতি জানান। তারপর নিয়মমতো মুম্বইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তারা কত দাম দেবে। সেইসময় হেসে জোসেফকে ছেড়ে দেন আকাশ। অর্থাৎ নতুন করে কোনও দর হাঁকেননি। ফলে জোসেফকে দলে পেয়ে যায় লখনউ। কিন্তু বিষয়ট🧸ি ঠিক কী হয়েছিল, তা লখনউ ম্যানেজমেন্ট পুরোপুরি যেন বুঝতে পারছিল না।