ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া জেলার বাসিন্দা এক ব্যক্তি। একটা দুটো নয়, নয় নয় করে ১৮টা⭕ বিয়ে করেছেন তিনি। দেশের ১০টা রাজ্যে ১৮টি বিয়ে করেছেন তিনি। তার ফোন দেখে তো হতবাক পুলিশ। নম্বর সেভ করা রয়েছে, ওয়াইফ টিচার, ওয়াইফ বেঙ্গালুরু। কার্যত পণের জন্যই বিয়ে করতেনꦏ তিনি। কিন্তু তিনি কি সুপুরষ?
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বয়স ৬৬ বছর। চার্লি চ্যাপলিনের মতো গো🧜ঁফ। প💛াঁচ ফুট লম্বা। আর সেই কিনা লেডি কিলার!।
ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়ার জেলার বাসিন্দা সুরেন্দ🍒্র সোয়াইনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। ডাক্তার, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট সহ একের পর এক বিয়ে করেন তিনি।
তিনি ম্য়াট্রিমনিয়াল সাইট দেখে ফোন করতেন। জানুয়ারি ২০১৮ সালে তিনি দিল্লির𝓀 এক মহিলাকে ফোন করেন। তিনি নিজেকে কেন্দ্রীয় সরকারের এক চিকিৎসক বলে পরিচয় দেন। এমনকী নিজেকে পরিবার অন্ত প্রাণ বলে পরিচয় দেওয়ার জন্য় তিনি নানা উদ্যোগ নেন। তার ভিজিটিং কার্ডে অশোক চক্রও দেওয়া ছিল। এমনকী লাল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর ছবিও দেখাতেন।
এরপর দিল্লিতে বিয়ে করেন তিনি। একটা মন্দিরে তিনি বিয়ে করেন। বিপুল টাকাও নেন। কিছুদিনের মধ্য়েই ভুবনেশ্বর থেকে দিল্লি চলে যান তিনি। এদিকে কমল নামে ওই নতুন বউ একটি ফেক প্রোফাইল তৈরি করেন। এরপর দেখেন সুরেশ সেই ফেক প্রোফাইল𒉰েও বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এমনকী মহিলা পুলিশ কর্তাদেরও তিনি এই সব প্রস্তাব পাঠাতেন।
সুরেশ মধ্য়প্রদেশের এক মহিলার কাছে নিজেকে , কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল বলে পরিচয় দেন। ফের মন্দিরে বিয়ে𓃲 করেন তিনি ওই মহিলাকে। সুরেশ ওই মহিলাকে নিয়ে আসেন ভুবনেশ্বরে। এরপর শান্তি বলে এক মহিলাকে ফাঁসান সুরেশ। শান্তিকে আবার মাসে ৯ হাজার টাকাꦯ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু শান্তি মধ্যপ্রদেশের ওই মহিলাকে সব জানিয়ে দেন। তিনি ড্রয়ার খুলে একের পর এক ছবি দেখিয়ে দেন। আর তারপরেই পর্দাফাঁস। আসলে তার নাম সুভাষ।
এরপর শ্বে𓃲তা চেপে ধরতেই সুরেশ ওরফে সুভাষ জানিয়ে দেন আগের বি🧔য়ে ছিল। কিন্তু সেসব তো ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে।
ক্লাস টেন পাস করেছিলেন সুরেশ। আর সেই সুরেশ আইটিবিপির এক কমান্ডান্টের কাছ থেকে বিয়ের নাম কꦡ🃏রে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে সব বিয়েই হয়েছে টাকার জন্য।
তবে পুলিশ তার কাছ থেকে ১৩টি ক্রেডি🔯ট কার্ড পায়। সব মিলিয়ে ১৮জন স্ত্রীর সন্ধান পায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ১৪টি মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।