এর আগে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী উচ্ছেদ অভিযানের সময় সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। তবে শাহিনবাগে উচ্ছেদ অভিযানের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করল না শীর্ষ আদালত। এদিন শাহিনবাগ উচ্ছেদ অভিযানের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কဣোর্টে আবেদন দায়ের করেছিল সিপিএম। কিন্তু সেই মামলার শুনানি হল না সুপ্রিম কোর্টের। শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, এই মামলার কোনও ভুক্তভোগী বা এই মামলার সঙ্গে যুক্ত কেউ এই আবেদন করেননি। পাশাপাশি সিপিএম এবং অন্যান্য আবেদনকারীদের আগে এই বিষয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে বলে সু্প্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, আজ সকালেই দক্ষিণ দিল্লির শাহিনবাগে বেআইনি বাড়ি ভাঙতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছিল দক্ষিণ দিল্লি মিউনিস♚িপ্যাল কর্পোরেশন। সেই উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে এদিন সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহিনবাগ। ২০১৯ সালের শেষ এবং ২০২০ সালের শুরুর দিকে এই শাহিনবাগের রাস্তাই সিএএ বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছিল। এবার সেখানেই বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। এই আবহে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বুলডোজার থামায় এবং প্রতিবা🃏দ শুরু করে। সেই প্রতিবাদে শামিল হন স্থানীয় আম আদমি পার্টির বিধায়ক আমানতউল্লাহ খানও।
এসডিএমসির স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান (সেন্ট্রাল জোন) রাজপাল বলেছেন, পৌরসভা তার কাজ করবে এবং যেখানেই হোক না কেন দখলদারদের সরিয়ে ফেলা হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মী ও কর্মকর্তারা প্রস্তুত। ♐দল ও বুলডোজার সংগঠিত হয়েছে। তুঘলকাবাদ, সঙ্গম বিহার, নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি বা শাহিনবাগ যেখানেই হোক না কেন দখলদারদের অপসারণ করা হবে।’
এর আগে উত্তর দিল্লি পুরনিগম জাহাঙ্গিরপুরীতে এই ধরনের অভিযান শুরু করেছিল। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ঘটনার জল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছ𓆏িল। এরপর সুপ্রিম কোর্ট এই উচ্ছেদ অভিযানের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। তবে সেই আদেশের পরও বেশ কয়েক ঘণ্টা উচ্ছেদ অভিযান জারি থাকে বলে অভিযোগ ওঠে। যেই বিষয়টি শীর্ষ আদালত ‘গুরুত্ব দিয়ে দে🌸খবে’ বলে জানিয়েছিল। তবে শাহিনবাগের ক্ষেত্রে আবেদন শুনলই না সুপ্রিম কোর্ট।