সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। রাজ্যসভায় চলতি বাদল অধিবেশনে আর থাকতে পারবেন না তৃণমূলের এই সাংসদ। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্ত মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাত থেকে বিবৃতি লেখা কাগজ ছিনি🌄য়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিবৃতি ছেঁড়ার ঘটনার প্রেক্ষিতেই এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল বলে জানা গিয়েছে। এই পদক্ষেপের পরই রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদরা সরব হন এবং নিন্দা করেন। এদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর তরফে জানা যায় যে সাসপেন্ড হয়েও রাজ্যসভায় বꦫসেছিলেন শান্তনু সেন। তাঁকে রাজ্যসভা থেকে বেরিয়ে যেতে আবেদন করেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। অধিবেশন শুরুর ঠিক আগের দিন রবিবার রাত থেকেই সংবাদের শিরোনামে চলে আসে পেগাসাস। এই আবহে আজও পেগাসাস নিয়ে উত্তাল সংসদ। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ ডঃ শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে মন্ত্রী অশ্বীনি বৈষ্ণবের বৃবৃতি ছেঁ𒈔ড়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যসভার ২৫৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে কেন্দ্র সরকার। প্রস্তাব পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরন। চলতি বাদল অধিবেশনে তৃণমূল সাংসদকে যাতে সাসপেন্ড করা হয়, সেই দাবি জানিয়ে শুক্রবার অভিযোগ জমা করে বিজেপি। সেই অভিযোগ মেনে নিয়ে বেঙ্কাইয়া নাইড়ু চলতি বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয় শান্তনু সেনকে।
রাজ্যসভায় এদিন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইড়ু বলেন, ‘গতকাল সভায় যা হয়েছে তা খুব দুর্ভাগ্যজনক। অসাংবিধানিক ঘটনা ঘটেছে রাজ্যসভায়। অধিবেশন শুরুর পর থেকে মাত্র ৪ ঘণ্টা কাজ হয়েছে রাজ্যসভায়। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে এসে কী আমরাগণতন্ত্রের এই চেহারা তুলে ধরব?’ এদিকে গতকালকের ঘটনা🌟র প্রেক্ষিতে শান্তনু সেনের নিন্দা করেন মন্ত্রী অশ্বীনি বৈষ্ণবও। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের সংস্কৃতি হিংসার। সংসদেও এই একই কাজ করছেন তাঁরা। গোটা দেশে তাঁরা কী বার্তা পাঠাচেছে।’