নিজে ১০ কোটি টাকার ডাইনিং টেবিল কিনেছিলেন। বিলাসবহুল পেন্টহাউজে ভাড়া থাকতেন। এদিকে কর্মীদের বলতেন সাদাসিধে থাকতে। নূন্যতম খরচেও রাগারাগি করতেন। ভারতপে'র সহ-প্রতিষ্ঠাতা অশনীর গ্রোভারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন সংস্থার কর্মীদের একাংশ। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিলেন অশনীর। আদতে ওই ডিনার টেবিলের দাম ১০ কোটি টাকার ০.০৫ শতাংশও নয়।সম্প্রতি ভারতপে বোর্ডের সঙ্গে তিক্ত সংঘর্ষের পর পদত্যাগ করেছেন অশনীর। এক নতুন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অশনীর এবং তাঁর স্ত্রী মাধুরী জৈন গ্রোভার, বেশ বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। মাধুরী ভারতপে-র হেড অব কন্ট্রোল ছিলেন। তিনিও সেই পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। ব্লুমবার্গ এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা ভারতপে-র এক ডজনেরও বেশি বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মচারীর সাক্ষাত্কার নিয়েছে। সেই সঙ্গে কোম্পানির নিকটস্থ আরও বেশ কিছু ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে ব্লুমবার্গ।রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মাধুরী একবার অফিসের প্রিন্টার দিয়ে ব্যক্তিগত প্রিন্টআউট নেওয়ার জন্য এক সহকর্মীকে বেতন কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি অফিসে কফি খাওয়ার পরিমাণও কমানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন কর্মীদের।ব্যবসায় বাজে খরচ কমানোর চেষ্টাটাই স্বাভাবিক। তবে ব্যক্তিগত জীবনে, মাধুরী এবং অশনীর তেমন মিতব্যয়ী ছিলেন না। নয়াদিল্লির অন্যতম দামি পেন্টহাউসে ভাড়া থাকতেন তাঁরা। আরেকটি বিলাসবহুল বাড়িও রিমডেল করিয়েছিলেন।দামি গাড়ির নেশা ছিল অশনীরের। একটি সবুজ রঙের পোর্শে কিনেছিলেন তিনি। আরও বেশ কিছু নামিদামী গাড়ি কিনেছিলেন অশনীর।সংস্থার কয়েকজন কর্মীর দাবি- অশনীর কোম্পানির একাধিক ব্যক্তিকে বলেছিলেন যে, তিনি প্রায় ১ কোটি টাকা দামের একটি ডাইনিং টেবিল কিনেছেন।ভারতপে-র কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, করোনাবিধি একেবারেই মানতে চাইতেন না অশনীর। এমনকি সংস্থার এক কর্মী সবাইকে মাস্ক পরার নিয়ম চালুর অনুরোধ করায় তাঁকে তুমুল বকাবকি করেন অশনীর। এমনকি এর কয়েক সপ্তাহ পরে তাঁকে বরখাস্তও করা হয়। সংস্থার কর্মীদের বক্তব্য, গ্রোভার পরিবারের জন্য সংস্থার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল।যদিও অশনীর টুইটারে দাবি করেছেন, সেই ডাইনিং টেবিলের দাম মোটেও ১০ কোটি টাকা নয়। সেইসঙ্গে ভারতপে বোর্ডের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি।