শুধুমাত্র পরিবেশগত ছাড়পত্রের জন্য আটকে রয়েছে তাজপুর বন্দর প্রকল্প। বীরভূমের দেউচা-পাঁচামিতে জমি অধিগ্রহণের সমস্যা থাকলে রাজ্য 🀅সরকার চেষ্টা করেছে তা মানবিক ভাবে মিটিয়ে দ্রুত কয়লা উত্তোলন প্রকল্প চালু করতে। মূলত এই দুটি প্রকল্পের উদাহরণ দিয়ে রাজ্য সরকার কতটা শিল্পবান্ধব তা দিল্লির শিল্পমেলায় তুলে ধরলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা।
শুক্রবার এই শিল্পমেলায় পশ্চিমবঙ্গ দিবস ছিল। মেলায় এক সাংবাদিক বৈকঠে রাজ্য সরকারের সরকারের শিল্পবান্ধব মনোভাবের উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। সে প্রসঙ্গেই শিল্পমন্ত্রী বলেন, গত ১২ অক্টোবর সরকারে বিজয়া সম্মিলনীতে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির হাতে 'লেটার অফ ইনটেন্ট' তুলে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ🔥্যায়। এখন সংস্থাটি পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। ছাড়পত্র পেলেই বন্দর তৈরির কাজ শুরু করবে তারা। মন্ত্রীর কথায়,'রাজ্য সরকার তাদের স👍ঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে। সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় একটু লাগবে।'
শশী পাঁজা বলেন, ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের এই প্রক🐼ল্পে সরাস⭕রি ২৫ হাজার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। পরোক্ষ কর্মসংস্থান হতে পারে এক লক্ষ।' এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, গোটা প্রকল্পটি কেন্দ্রের কোনও সাহায্য ছাড়াই একা করছে রাজ্য।
দেউচা-পাঁচামি কয়লা ব্লককে নিয়েও বিপুল সম্ভাবনার উল্লেখ করেন তিনি। মজুত কয়লার হিসাবে ওই খনিটি ভারত তথা এশিয়ার বৃহত্তম ও বিশ্বের দ্বিতীয় কয়লা ভান্ডার। তবে প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের সমস্যা রয়েছে। তবে সেই সমস্যা মানবিক ভাবে দ্রুত মেটানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরক🦹ার। প্রকল্প এলাকার কিছু জায়গায় সমীক্ষা ও খননের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে ত🧔িনি জানিয়েছেন।
এর সঙ্গে, দেশের জিডিপি-র হারের তুলনায় রাজ্যের জিডিপি-র অনেক বেশি তারও হিসাব দেন শিল্পমন্ত্রী। তিনি মনে করিয়ে দেন তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ⛄রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রে একবারও বনধ হয়নি, কর্মꦚদিবস নষ্ট হয়নি।