বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধꩵানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের টাকা বাজেয়াপ্ত করল বর্তমানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই নিয়ে ১০ মার্চ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বড় ঘোষণা করেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৬৩৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই টাকা মোট ১২৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সꦑ ইউনিট এই অর্থের হদিশ পেয়ে তা বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক সভায় বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সরকারের হাতে তুলে দেয়।
আরও পড়ুন: 'রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার' নাম বদলের দাবি RSS ন꧂েতার, যুক্তি দিয়ে বললেন…
এদিকে ইউনুসের সরকারের বক্তব্য, হাসিনার জমানায় বাংলাদেশ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার। সেই অর্থ দেশে ফেরাতে নকি ইউনুসের সরকার পদক্ষেপ করবে। ইউনুসের সকারের দাবি, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং ও কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে ♕সম্পত্তি আছে। এদিকে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় তদন্ত সম্পন্ন করে চার্জশিটও পেশ করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ অগস্ট বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে। আর🥀 মহম্মদ ইউনুস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবার এবং প্রাক্তন আওয়ামি লিগ নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এই আবহে বাংলাদেশ সকারের তরফ থেক✤ে জানানো হয়েছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। অপরদিকে গুম-খুনের মামলায় মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এই সবের মাঝেই নাকি ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে মোদী সরকার। তবে হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে 'রাজনৈতিক আশ্রয়' দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আ🤡ইন নেই ভারতে। তবে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধ ভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদী সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাকি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দেয়। এরপরই স্থানীয় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। যদিও ইউনুস চাইছেন হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে তাঁর বিচার করতে।