শ্রদ্ধা ওয়াকর খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। প্রাথমিক তদন্তে এটা প্রায় পরিষ্কার যে আফতাব আমিন পুনাওয়ালাই এই খুন করেছে। আজ আদালতেও কার্যত খুনের দায় স্বীকার করে আফতাব পুনাওয়ালা। তবে আজ সংবাদ চ্যানেল এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আফতাবের আইনজীবী দাবি করেন যে তাঁর মক্কেল আদালতে খুনের দায় স্বীকার করেনি। এদিকে আইনজীবী আরও দাবি করেন যে তাঁর মক্কেল আফতাব পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করছে।এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ আদালতে পেশ করা হয়েছিল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে। আফতাবের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে দেন বিচারক। এদিকে শুনানি চলাকালীন আজ মুখ খোলে আফতাব। সে জানায়, তাঁর মাথা গরম হয়ে যাওয়াতেই ‘এই ঘটনা ঘটেছিল’। এদিকে এদিন পুলিশ আদালতে জানায়, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আফতাবকে। বিচারককে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, সম্প্রতি তল্লাশি চালিয়ে মেহরউলির জঙ্গল থেকে খুলির একাংশ, কাটা কব্জি, হাঁটুর অংশ। তবে সেই দেহাংশ শ্রদ্ধার কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।প্রসঙ্গত, অনলাইন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে শ্রদ্ধা এবং আফতাবের আলাপ হয়েছিল। পরবর্তীতে মুম্বইয়ে আফতাবের সঙ্গে একই কলসেন্টারে কাজ শুরু করেছিলেন শ্রদ্ধা। কিন্তু ভিনধর্মের হওয়ায় শ্রদ্ধাদের সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি ছিল পরিবারের। সেই পরিস্থিতিতে আফতাবের সঙ্গে মুম্বই ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। পুলিশ জানিয়েছে, ১৮ মে শ্রদ্ধা ও আফতাবের ঝগড়া হয়েছিল। ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরেছিল আফতাব। তারপর তাঁকে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছিল আফতাব। কয়েক বছর আগে শেফ হিসেবেও কাজ করত। কীভাবেে মাংস কাটতে হবে, তা নিয়ে দু'সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। যে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা দিয়ে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো-টুকরো করেছিল আফতাব।