তিন-চারদিনের মধ্যে দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিটেয় ফেরানোর কথা বলেছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তারপরই ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ 🌌ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা বাড়ানোর পথে হাঁ🀅টল রেল। একইসঙ্গে জানানো হল, গন্তব্য স্টেশন ছাড়া যাত্রাপথের আরও তিনটি স্টেশনে দাঁড়াবে সেই বিশেষ ট্রেন।
সোমবার রেল মন্ত্রকের তরফে নয়া নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, ট্রেনে যতগুলি স্লিপার বার্থ আছে, ততজন যাত্রী যেতে পারবেন। ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেনে ২৪ টি কোচ থাকছে। প্রতিটি 🍃কোচে ৭২ টি আসন থাকে। কিন্তু সামাজিক দূরত্বের বিধির কারণে এতদিন মিডল বার্থটি ফাঁকা রাখা হত। অর্থাৎ প্রতিটি কোচে ৫৪ জন যাত্রী ওঠার ছাড়পত্র পেতেন। সেই হিসেবে সর্বাধিক ১,২৯৬ জন যাত্রী একটি ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেনে যেতে পারতেন। তবে সোমবারের নির্দেশিকার ফলে প্রতিটি কোচে পুরো ভরতি করা যাবে। ফলে প্রতিটি ট্রেনে সর্বাধিক ১,৭২৮ জন যাত্রী উঠতে পারবেন।
একইসঙ্গে নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে ছাড়ার পর শুধুমাত্র গন্তব্য স্টেশনে পৌঁছে থামত সেই বিশেষ ট্রেন। সোমবার রেলের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘যে রাজ্যের উদ্দেশে ট্রেনটি যাচ্ছে,🀅 সেই রাজ্য সরকার অনুরোধ করলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের তিনটি স্টেশনে (প্রান্তিক স্টেশন ছাড়া) ট্রেনটি থামবে।’
পাশাপাশি, রাজ্যগুলিকে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে রেল মন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গের মতো যে রাজ্যগুলিতে হাতেগোনা ট্রেন চলেছে, সেগুলিকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। সোমবার সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের চিঠি লিখে একই আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গকে আরও বেশি ট্রেন ঢোকার অনুমতি দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মাত্র দুটি 🐻‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেন এসেছে। একটি রাজস্থান, অপরটি কেরালা থেকে।