গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৪ মিমি বৃষ্টি হয়েছে সিকিমে। আর তার জেরে পাহাড়ের গায়ে ভাঙা বাড়ি থেকে বড় গাছ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। এমনকী রাস্তাঘাটে ধস নামার জেরে বুকে আতঙ্ক নিয়ে আটকে আছেন পর্যটকরা। তিস্তার গর্জনে ভয় পাচ্ছেন সকলেই। উত্তর সিকিমে একাধিক ধস নামার জেরে এখন দু’হাজার পর্যটক সেখানে আটকে রয়েছে। অত্য🏅ন্ত খারাপ আবহাওয়ার জেরে উদ্ধারকাজ পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। পর্যটকরা নিরাপদ আশ্রয়ে আছে জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তিনদিন হয়ে গেল সেখানে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বৃষ্টি এবং ধসের তিনদিন পরেও সিকিমের সামগ্রিক পরিস্থিতির কোনও উন্নতি ঘটেনি। সারাদিন বৃষ্টি আর ঘন কালো মেঘের জেরে কমে গিয়েছে দৃশ্যমানতা। উত্তর সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে বায়ুসেনার সাহায্য চাইল সিকিম প্রশাসন। হড়পা বান এবং ধসে ভেসে যাওয়া সড়ক ও সেতু পুনর্নিমাণের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সীমান্ত সড়ক সংস্থা (বিআরও) এবং সেনাবাহিনী। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে নির্মাণকাজ। আর পাকইয়াং বিমানবন্দরের অধিকর্তা সঞ্জীব কুমার সিং বলেন, ‘রাজ্যের পক্ষ থেকে নির্দেশ পেয়েছি। লাচুং এবং চুংথাং থেকে আটকে থাকা পর্যটকদের এয়ারলিফ🌠ট করে উদ্ধার করার জন্য। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ায় সেটা থমকে আছে। আমরা উদ্ধারকাজ করতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষ জামিনে জেলম𒉰ুক্তি শাহজাহান অনুগামীর, একাধিক শর্ত দিল বসিরহাট আদালত
লাচুংয়েই তিনদিন ধরে আটকে রয়েছেন ১২০০ পর্যটক। তাঁদের মধ্যে ৫০০’রও বেশি বাংলার বাসিন্দা। মঙ্গনের পুলিশ সুপার সোনম ডিকচু ভুটিয়া জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে এখনও উত্তর সিকিমের দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকাজ শুরু করা যায়নি। স্থানীয়ভাবে সবরকম চেষ্টা চলছে। হেলিকপ্টার নামার মতো আবহাওয়া না থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছ🎐ে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী, সিকিম আর্মড পুলিশ এবং ෴বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। রংপোয় হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে। যোগাযোগের নম্বর ৮৭৬৮০৯৫৮৮১ এবং ৯০৫১৪৯৯০৯৬। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং শনিবার ধস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। আর ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রাণ–আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। আজ, রবিবার সকাল পর্যন্ত মঙ্গন জেলায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে।