ন্যক্কারজনক ঘটনা। ৬০ বছর বয়সি বিধবা মাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল বড় ছেলের বিরুদ্ধে। এক বছর আগেকার সেই ঘটনায় অবশেষে সাজা ঘোষণা করল আদালত। গুরুতর অপরাধের দয়ে বৃদ্ধার অভিযুক্ত বড় ছেলেকে যাব♉জ্🙈জীবন কারাদণ্ড দিল উত্তর প্রদেশের একটি আদালত। একইসঙ্গে, ৫১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরের একটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত সোমবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: নাবালিকাকে গণধর্ষণ উত্তরপ্রদেশে, আটক ৭ ও ৮ বছরেꦡর দুই নাবালক, অসুস্থ নির্যাতিতা
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম আবিদ। সোমবার রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা বিচারক বরুণ মোহিত নিগম। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার পর সবকিছু খতিয়ে দেখে আবিদকে দোষী বলে খুঁজে পেয়েছে আদালত। তারপরেই এই সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। এদিন রায় ঘোষণার পরেই মামলার সরকারি আইনজীবী বিজয় শর্মা বলেন, ‘মহামান্য আদালত ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। আমার কয়েক বছরের পেশায় আমি এভাবে মাকে ধর্ꦏষণের মামলা দেখিনি। এটি একটি গুরুতর অপরাধ।’ নির্যাতিতা মায়ের বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তের মা কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন তার ছেলে একজন দানব।' ২০ মাসের মধ্যে আদালত মামলাটি নিষ্পত্তি করেছে বলে জানিয়েছেন স🐟রকারি আইনজীবী।
উল্লেখ্য, ঘটনাটি ঘটেছিল গতবছরের ১৬ জানুয়ারি বুলন্দশহরের একটি গ্রামে। এফআইআর অনুযায়ী, আবিদ ♋তার মায়ের সঙ্গে মাঠে গবাদি পশু চড়াতে গিয়েছিল সেখানে সে মাকে ধর্ষণ করেছিল।বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মা দ🌱াবি করেছিলেন যে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পরে বড় ছেলে তাঁকে নিজের স্ত্রী হিসাবে সঙ্গে থাকতে বলেছিল।
নির্যাতিতার কথায়, ‘আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আমার ছেলে চেয়েছিল যে আমি তার স্ত্রীর মতো থাকি।’ জানা গিয়েছে, আবিদের দুই ভাই ইউসুফ এবং জাভেদ পুলিশের কাছে এবিষয়ে দাদার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায𝔉়ের করেন। তারা মায়ের কাছ থেকে একথা জানতে পেরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন। আবিদের ভাই বলেন, ‘মা বাড়ি ফ🍃েরার পর ঘটনাটি আমাদের জানান। আমরা পরিবারের মধ্যে সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করি। কিন্তু, আবিদ মাকে তার স্ত্রী হিসাবে সঙ্গে রাখার জন্য হুমকি দিতে থাকে। পরে আমরা এফআইআর দায়ের করি।’ এরপরে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ধর্ষণ, হুমকি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। সরকারি আইনজীবী জানান, এই অভিযোগের পরেই নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছিল তাতে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছিল।