⭕ ২৬ জানুয়ারি থেকে ৫ দিনের অনশন শুরু করেছেন লাদাখের উদ্ভাবক এবং সমাজসেবক সোনম ওয়াংচুক। ১৮ হাজার ফুট উচ্চতার খারদুংলা পাসে তাঁর অনশনে বসার কথা থাকলেও সোনমের অভিযোগ, তাঁকে সেখানে অনশন করতে দেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ, এই অনশন চলাকালীন তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। এক ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করে সোনম বলেন, 'লাদাখে অনশন বন্ধ করতে বলা হয়েছে🥂 আমাকে। লেহ জেলার কোনওরকম বিষয়ে নাক গলাতে নিষেধ করা হয়েছে। কোনও জমায়েত, বক্তব্য রাখা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এমনকী সোশাল মিডিয়া পোস্ট করতেও বারণ করা হয়েছে আমাকে। আমি গৃহবন্দি হয়ে রয়েছিল। কিংবা তার থেকেও খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছি।' গতকাল নিজের বেশ কয়েকটি ছবিও টুইটারে পোস্ট করেন সোনম। তাতে দেখা যায় তিনি স্লিপিং ব্যাগের ভেতরে। তাঁর সামনে একটি ডিজিটাল থার্মোমিটার। যাতে দেখাচ্ছে যে তখন সেখানকার পারদ মাইনাস ১৮ ডিগ্রি।
সোনম অভিযোগ করেন, তাঁকে দিয়ে একটি সরকারি বন্ডে সই করানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, 'হিমালয় ও লাদাখকে বাঁচাতে আমি পাঁচদিনের অনশনে বসেছিলাম। আমায় বলা হয়েছিল পুলিশ আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে সেরকমটা ঘটেনি।' যদিও তাঁর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে লাদাখ পুলিশের সুপারিনটেন্ডেন্ট পিডি নিত্য বলেন, 'খারদুংলা পাসে অনশন করার জন্য প্রশাসনের থ🌼েকে কোনওরকম অনমুতি নেননি সোনম ওয়াংচুক। সেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রি থাকে। ওখানে কোনও কর্মসূচির অনুমতি নেই। তিনি বা তাঁর কোনও অনুগামীর ওই এলাকায় যাওয়া বিপজ্জনক। তাঁক যদি অনশন করতেই হয় তবে নিজের ইনস্টিটিউটে করুন।' সোনমের অবশ্য অভিযোগ, প্রশাসন পুলিশকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। তাঁর নিরাপত্তার কোনও দায়িত্ব নেয়নি পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়, যখন সোনম হিমালয়ের ওই উচ্চতায় অনশন করতে যাচ্ছিলেন তখনই পুলিশ তাঁকে নীচে🍬 নেমে আসার জন্য অনুরোধ করে। তবে পুলিশের অনুরোধ বা নিষেধ মানেননি সোনম ওয়াংচুক। এর জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরপরই তাঁর সঙ্গে একটি বন্ডে চুক্তি করা হয়। সোনম পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ। পুলিশের বক্তব্য, সোনমের জন্য নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করাও সম্ভব হয়নি।