ব়্যাঞ্চো বা ব়্যাঞ্চোরদাস চাঁচর কিংবা ফুংসুক ওয়াংড়ুকে মনে আছে নিশ্চয়? হ্যাঁ, থ্রি ইডিয়টসের আমির খান। রাজকুমার হিরানির এই ছবিতে আমির খানের চরিত্🍎রের অনুপ্রেরণা ছিলেন লাদাঘের ইঞ্জিনিয়ার সোনাম ওয়াংচুক। এবার লাদাঘ সীমান্তে চিনের অগ্রাসন নিয়ে সরব হলেন তিনি। চিনের ভাষাতেই চিনকে জবাব দিতে হবে টুইটারে মন্তব্য করেন সোনাম ওয়াংচুক। ভারতীদের সবরকম চিনা দ্রব্য বয়টক করার আর্জি জানান তিনি।
লাদাঘ উপত্যকার অন্যতম সমাজকর্মী তথা শিক্ষা সংস্কারক সোনাম। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত লাইন অফ অ্যাকচুয়াল ( লাদাঘে ভারত-চিন সীমান্ত)। করোনার জেরে গোটা বিশ্বেরജ অর্থনীতি যখন ধুঁকছে সেই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে চিন,মনে করছে একদল কুটনীতিবিদ। ক্ষমতা দখলের এই প্রতিযোগিতায় একদিকে যেমন একাধিক বহুজাতিক কম্পানির শেয়ার দখল করছে চিন,তেমনই লাদাঘ সীমান্তে চলছে চিনা সৈন্যদের চোখ রাঙানি। প্যাংগং আর গালওয়ান সীমান্তে অতিরিক্ত দু থেকে আড়াই হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চিন। যা চিন্তায় ফেলেছে ভারতকে। ‘চিনের সঙ্গে আলোচনা চলছে’ জানিয়েছেন♛ বিদেশমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
শুক্রবার টুইট বার্তায় সোনাম ওয়াংচুক জানান, নিজেদের ওয়ালেটের পাওয়ারকে ব্যবহার করুন। চিনে তৈরি সফটওয়ার একসপ্তাহে এবং হার্ডওয়ার এক বছরে বয়কট করুন। দশকের পর দশক ধরে লাদাঘ সীমান্তে চিনের দাদাগিরি চলেছে,ঠিক যেন..ওরা নির্মমভাবে আমা🍸র শিরঃচ্ছেদ করছে এবং আমরা বলছি হুজুর ধীরে কাটুন ধীরে কাটুন..কিন্তু এখন সময় এসেছে সেনারা বুলেট দিয়ে জবাব দেবে আমরা ওয়ালেট দিয়ে’।
ইউটিউবে বর্তমান ইন্দো-চিন পরিস্থিতি ন🎶িয়ে একটি বিস্তারিত ভিডিয়ো পোস্ট করেন সোনাম ওয়াংচুক। সেখানে তিনি ওয়ালেট দিয়ে জবাব দেওয়ার বিস্তারিত ব্যাখা দিয়েছেন। তিনি বলেন গোটা বিষয়টি আদতে চিনের চক্রান্ত। তিনি বলেন ‘করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের কারণে সে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় বন্ধ ছিল। ফলে সেদেশের প্রায় ২০% মানুষ নতুন করে বেকার হয়েছে। যে কোনও সময় সরকার বিরোধী অভ্যুথানের আশঙ্কা রয়েছে তাই ভারত সীমান্তে আগ্রাসন শুরু করেছে চিন’। সীমান্তে সেনারা যুদ্ধ করবে একথা ভেবে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবরা সময় এটা নয়। কারণ চিনকে জবাব দেওয়া এখন একজন আম ভারতীর পক্ষেও সম্ভবকর। কীভাবে? তিনি জানান 'প্রতি বছর চিনের থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ কোটি টাকার জিনিস কেনে ১৩০ কোটি ভারতবাসী। তাই এখন সময় এসেছে সেই পণ্য বয়কট করার,সেই টাকা দিয়েই চিন সীমান্তে আমাদের সেনাদের উপর হামলা চালায়'। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারতের পক্ষেও এই ভিডিয়োতে সওয়াল করেন এই সমাজকর্মী।&💧nbsp;
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফোনে থাকা সমস্ত রকমের চাইনিজ অ্যাপ-টিকটক,হ্যালো,শেয়ারইট ইত্যাদি আনইনস্টল করে চিনকে জবাব দিন। তিনি মনে করান এই 🌸বিরোধ চিনে🎀র মানুষ বা সংস্থাগুলোর সঙ্গে নয়, বিরোধ হল চিনের ‘স্বৈরাচারী’ সরকারের সরকারের সঙ্গে।