বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্ﷺমদ ইউনুসের সঙ্গে শীঘ্রই কোনও বৈঠকের সম্ভাবনা নেই প্রধা𒅌নমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বুধবার নয়া দিল্লির একটি সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন দুই রাষ্ট্রনেতা। কিন্তু, ইউনুসের সঙ্গে মোদী আলাদাভ𝐆াবে সাক্ষাৎ করবেন বলে মনে হয় না।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের প্রথম দিকেই এই বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। ঢাকার প্রস্তাব ছিল, নরেন্দ্র মোদীর মতোই মহম্মদ ইউনুসও আমেরিকায় আয়োজিত রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার বৈঠকে যোগ দেꩵবেন। সেই সময়েই আলাদা করে দু'জনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজন করা হোক।
আসলে হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত🐠ের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী হবে, তা নিয়ে যে জল্পনা শুরু হয়েছিল, তা এখনও অব্যাহত। ঢাকার বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে ধোঁয়াশা অনেকটাই স্পষ্ট হবে। কিন্তু, নয়া দিল্লি এই প্রস্তাবে সাড়া দিতে পারবে না বলেই দাবি সূত্রের।
এর নেপথ্যে যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত কারণও রয়েছে। প্রথমত, এই ধরনের কোনও বৈঠক আপাতত ভারতের অ্য়াজেন্ডা নয়। দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী মোদী তিনদিনের সফরে আম♉েরিকা যাচ্ছেন। তাঁর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে♏। যা অনেক আগে থেকেই স্থির করা ছিল।
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর উইলমিংটনে কোয়াড নেতাদের সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। তারপর, ২৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার বৈঠকেও বক্তৃতা🌟 করার কথা রয়েছে তাঁর।
নাম 🍬প্রকাশে অনিচ্ছুক নয়া দ💜িল্লির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, একথা ঠিক যে নিউ ইয়র্কে থাকাকালীন বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে আলাদা করে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের সঙ্গে তাঁর কোনও বৈঠকের সম্ভাবনা নেই।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন মহম্মদ ইউনুস। তাছাড়া, সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিরা প্রায় নিয়মিত ভারত সম্পর্কে নানা মন্তব্য করে চলেছেন। তাঁদের সেইসব মন্তব্য নয়া দিল্লি খুব একটা ন﷽েক নজরে দেখছে না বলেই দাবি সূত্রের।
সংশ্লিষ্ট সাক্ষাৎকারে মহম্মদ ইউনুস শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের সমালোচনা করেন এবং ভারতে আশ্রয় নে♔ওয়া প্🐼রাক্তন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীকে স্বদেশে প্রত্যার্পণের জন্য ঢাকার তরফে নয়া দিল্লির কাছে প্রস্তাব পাঠানো হতে পারে বলেও দাবি করেন।
পাশাপাশি, ইউনুস বলেন, ভারত মনে করে, একমাত্র হাস💦িনার আওয়ামি লিগ ছাড়া বাংলাদেশের বাকি সব রাজনৈতিক দলই ইসলামপন্থী। ভারতের এই ধ♏ারণা বদল করা দরকার বলেও মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।
হাসিনা ও ভারত প্রসঙ্গে একই সুর শোনা গিয়েছে বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী বিদেশমন্ত্রীর গলাতেও। এই প্রেক্ষাপটে মোদী-ইউনুস বৈঠকের সম্ভাবনা একেবারেই নেই বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহꦫল।
পাশাপাশি, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও মোদীর বৈঠকের কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে, তাঁদের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হলেও হতে পারে।🐭 যদিও ট্রাম্পের তরফে দাবি করা 🧸হয়েছে, তিনি নাকি আগামী সপ্তাহেই মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।