প্রায় এক দশক পর মার্ꦉকিন মাটি থেকে পৃথিবীর কক্ষ ছুঁল মানুষ। প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ♎মহাকাশচারীদের পৃথিবীর কক্ষে পাঠাল মার্কিন সংস্থা স্পেস এক্স। Nasa SpaceX Dragon 2 Demo নামে এই রকেটের উৎক্ষেপণ গত বৃহস্পতিবার খারাপ হয়ে যায়। শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা প্রদেশে ক্যানাভেরাল উত্তরীপ থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপিত হয় মহাকাশযানটি।
পরবর্তী প্রজন্মের মহাকাশযান তৈরির জন্য বেসরকারি সংস্থা স্পেস এক্সের সঙ্গে চুক্তি করেছিল নাসা। তারাই বানিয়েছে ড্রাগন নামে এই মহাকাশযান। অত্যাধুনিক এই মহাকাশযান স্বচালিতভাবে উৎক্ষেপিত হতে ও অবতরণ করতে পারে। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য যানটিতে রয়েছে বিশেষ💎 প্রযুক্তি।
শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩.২২ মিনিটে♏ একটি ফ্যালকন ৯ র🦩কেটে চড়িয়ে ড্রাগন ক্যাপসুলটিকে মহাকাশে পাঠানো হয়। প্রথম অভিযানের যাত্রী ছিলেন, রবার্ট বেনখেন ও ডগলাস হার্লে। রবিবার পৃথিবী থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে প্রদক্ষিণরত আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছনোর কথা যানটির।
এদিনের লঞ্চের আগেও ছিল অনিশ্চয়তা। লঞ্চের কয়েক ঘণ্টা আগে টেক্সাসে বিস্ফোরণ ঘটে স্পেস এক্সের একটি স্টারশিপ রকেট। শনিবার শেষ মুহূর্তে যানটিকে মহাকাশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। দেশবাসীর জন্য ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে ফ্লোরিౠডা পৌঁছেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০১১ সালে স্পেস শাটলগুলিতে বাতিল ঘোষণার পর গত প্রায় ১০ বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মহাকাশে মানুষ পাঠানোরꦿ কোনও প্রযুক্তি ছিল না। সেজন্য রাশিয়ার ওপর ভরসা করতে হত তাদের। রুশ মহাকাশযান সয়ুজ-এ আসন ভাড়া করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে নভোচারীদের পাঠাত নাসা। এদিনের সফল উৎক্ষেপণের পর সেই নির্ভরশীলতা কাটল।
লকডাউন-সহ🎐 যাবতীয় বাধার মধ্যেই তাই এই উৎক্ষেপণ 🐟নিয়ে কাজ চালিয়ে গিয়েছিল নাসা ও স্পেস এক্স।