ভূবনেশ্বরে পৌঁছতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশে আছড়ে পড়ল জনরোষ। সোমবার সকালে কার্যত ব্যর্থ হল নিরাপত্তার যাবতীয় আয়োজনཧ। ভুবনেশ্বর এইমসে পার্থবাবুকে দেখেই ‘চোর, চোর’ বলে তেড়ে এল জনতা। সামলাতে হিমসিম খেতে হল নিরাপত্তারক্ষীদের।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সোমবার বেলা ১০.৪৫ মিনিট নাগাদ ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে পৌঁছয় ইডি। ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর থেকে বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। প্রায় ৪৫ মিনিট সফর শেষে হাসপাতালে পৌঁছয় অ্যাম্বুল্যান্স। এর পর পার্থবাবুকে হাসপাতালের কর্মী ও চিকিৎসকরা অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামাতেই ‘চোর, চোর’ বলে তেড়ে আসেন সেখানে উপস্থিত বাঙালিরা। এরকম পরিস্থিতি যে তৈরি হতে পারে তা😼 অনুমান করতে পারেননি নিরাপত্তারক্ষীরা। তাদের সামলাতে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে হল্লা। পার্থবাবুকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে ভিতরে নিয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এলাকা খালি করে দেওয়ার জন্য লাউড স্পিকারে বারবার ঘোষণা করতে থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে উপস্থিত এক ব্যক্তি বলেন, ‘এরা চোর। জনগণের কোটি কোটি টাকা মেরেছে।’ অন্য একজন বলেন, ‘আমি একজন শিক্ষি𒐪ত বেকার। আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়।’ অন্য একজন বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে একটা শিল্প নেই। একটা কর্মসংস্থান নেই। এর জন্য দায়ী এরাই।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভুবনেশ্বর এইমসে পার্থবাবুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন ৪ সদস্যের মেডিক্যাল টিম। সোমবার দুপুর ৩টের মধ্যে তাদের আদা𝔉লতকে রিপোর্ট দিতে হবে।