সোমবার দক্ষিণ চিনের গুয়াংডং প্রদেশে একটি কিন্ডারগ🌠ার্টেনে অতর্কিত হামলায় ছয়জন নিহত ও একজন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লিয়ানজিয়াং শহরের প্রশাসনের একজন মুখপাত্র জানান, হতাহতদের মধ্যে একজন শিক্ষক, দু'জন অভিভাবক এবং তিনজন পড়ুয়া রয়েছে। এদিকে মৃতদের বয়সের বিষয়ে কিছু জানাননি প্রশাসনিক মুখপাত্র। এদিকে কী অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়, সেই বিষয়েও কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি স্থনীয় প্রশাসনের তরফে। তবে তিনি জানান, হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত হামলাকারীর নাম 'উ'(Wu)। তার বয়স ২৫ বছর। ইচ্ছে করেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে ৬ জনকে। তবে ঠিক কী কারণে এই হামলা চা💟লানো হয়েছে, তা নিয়ে এখনও খোলসা করা হয়নি। হতাহতদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। জানা গিয়েছে, আজ স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ এই হামলাটি চালানো হয়।
এদিকে ঘটনার পর চিনের সরকারি এক চ্যানেলের তরফে একটি ভিডিয়ো প্রক⭕াশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, এক যুবককে পুলিশ🃏 জোর করে গাড়িতে ঢোকাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এই সেই আততায়ী। তবে এই ঘটনার আরও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছিল স্থানীয়দের তরফে। তবে সেই সব ভিডিয়োই সরিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, চিনে বন্দুকের মালিকানার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখে প্রশাসন। তবে তা সত্ত্বেও স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে সেদেশে। গতবছর অগস্টে দক্ষিণপূর্ব চিনের জিয়াংসি প্রদেশে একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে তিনজনকে খুন করেছিল এক দুষ্কৃতী। ঘটনায় আরও ৬ জন জখম হয়েছিল। এর আগে ২০২১ সালেও ছুরি নিয়ে𓆏 একটি কিন্ডারগার্টেনে হামলা চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন আরও ১৬ জন। ২০২০ সালের জুন মাসে একই ধরনের হামলায় ৩৭ জন আহত হয়েছিল একটি স্কুলে। ২০১৯ সালে একটি স্কুলে অ্যাসিড হামলা চালিয়ে ৫১ জনকে জখম করেছিল এক ব্যক্তি। সেই বছরই হুবেই প্রদেশে পৃথক এক ঘটনায় একটি স্কুলের ৮ জন পড়ুয়া মারা গিয়েছিল। ২০১৮ সালে একটি কলেজে হামলা চালানো হলে মৃত্যু ঘটেছিল ৯ জনের।