পুনের সাবিত্রী ফুলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এক যুবককে মারধর ঘিরে ক্যাম্পাসে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। বিশ্ববিদ্যালয়েরই ১৯ বছর বয়সী এক যুবককে কয়েকজন ক্যাম্পাসে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর ওই যুবক পুলিশের দ্বারস্থ হন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তাঁকে ‘লাভ জেহাদ’ ইস্যু তুলে হুম൩কিও দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ৪ অভিযুক্তকে শণাক্ত করা গিয়েছে। আপাতত তদন্ত এগিয়ে চলেছে।
পুনের সাবিত্রী ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের 'স্কিল ডেভেলপমেন্ট' বিভাগের ছাত্র ওই ১৯ বছরের যুবক। তাঁর অভিযোগ, কয়েকজন ক্যাম্পাসে বাইক নিয়ে এসে তাঁকে মারধর করেন। অভিযোগের বর্ণনায় বলা হয়েছে, ওই পড়ুয়াকে প্রথমে ক্যাম্পাসের ভিতর এসে ঘিরে ধরে অভিযুক্তরা। বাইকে আসে তারা। ঘটনাটি ঘটেছে ৭ এপ্রিল। সেদিন দুপুর ২ টো নাগাদ ঘটে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী। তিনি অভিꦫযোগে জানিয়েছেন, তাঁর কাছে প্রথমে আধার কার্ড দেখতে চাওয়া হয়। অভিযুক্তরা আধার কার্ড দেখেই, তাঁকে 'লাভ জেহাদ' নিয়ে গালিগালাজও করেন, বলে অভিযোগ। এদিকে, ওই যুবক তখন কয়েকজন বান্ধবীর সঙ্গে ছিলেন। যুবকের আধার কার্ড দেখার পরই বান্ধবীদের সরে যেতে বলে অভিযুক্তরা। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করছে যুবকের সঙ্গে তাঁর একজন বন্ধুও ছিলেন। এরপরই গালিগালাজ করে বেধড়ক মারধর করা হয় যুবককে।🙈 যুবক লাভ জেহাদ ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে আহত হন যুবক। জানা গিয়েছে, পুনের সাবিত্রী ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাবাসাহেব আম্বেদকর ভবনের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়েজ হস্টেলের ছাত্র ওই যুবককে মারধরের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অভিযোগে জানানো হয়েছে, তিনটি মোটরবাইকে করে এসেছিল অভিযুক্তরা। মোট ৬ জন অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে বলে খবর। পুলিশ জানিয়েছে এদের মধ্যে ৪ জনকে শণাক্ত করা গিয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে তদন্ত চলছে। ভ꧋ারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩,১৪৭,১৪৯, ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬ ধারার আওতায় দায়ের হয়েছে মামলা। এছাড়াও মহারাষ্ট্র পুলিশ অ্যাক্টের আওতাতেও রয়েছে মামলা।