দিল্লির সুলতানপুরীতে রবিবার ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর নতুন করে আরও এক চাঞ্চল্যকর সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে আসে। দে꧅খা যায় রবিবার, গাড়ির ধাক্কায় মৃতা মহিলার সঙ্গে সেই অভিশপ্ত রাতে আরও এক মহিলা ছিলেন। শুরু হয় খোঁজ। উঠে আসে নিধির নাম। মৃতা অঞ্জলির সঙ্গে সেই রাতে নিধি থাকার সময় কী ঘটেছিল, তা প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে পুলিশকে জানান নিধি।
নিধি দাবি করেছেন, রবিবার ঘটনার✅ দিন অঞ্জলি মদ্যপ ছিলেন। মদ্যপ থাকার পরও অঞ্জলি গাড়ি চালাতে চান। নিধি বলছেন, ‘ও (মৃতা অঞ্জলি) মদ্যপ ছিল, তাও দোর করেছে গাড়ি চালাতে’। এরপরই পিছন থেকে চারচাকা এসে অঞ্জলির স্কুটিতে ধাক্কা দেয়। সেই সময় স্কুটিতে ছিলেন নিধি। নিধি সাংবাদিকদের 🐻মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘গাড়ির ধাক্কার পর গাড়ির তলায় চলে যায় সে (অঞ্জলি), আমি ভয় পেয়েছিলাম, আমি সেখান থেকে চলে যাই। কাউকে কিছু বলিনি।’ জানা যায় অঞ্জলির অন্যতম বন্ধু নিধি। তবে পুলিশের তদন্তে জানা যায়, সেই রাতে অঞ্জলিকে ওই অবস্থায় ছেড়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে যান নিধি। উল্লেখ্য, রবিবার দিল্লিতে এক গাড়ির ধাক্কায় স্কুটি আরোহী অঞ্জলির মৃত্যু হয়। তারপর তাঁকে ওই চারচাকা গাড়ি হিঁচড়ে নিয়ে যায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা। ততক্ষণে গাড়ির নিচে পড়ে থাকেন অঞ্জলি। গোটা ঘটনার স্পষ্ট ছবি সিসিটিভিতে উঠে আসে। ঘটনায় নয়া মোড় নিয়ে অঞ্জলির বন্ধু নিধির নাম উঠে আসে সিসিটিভি ফুটেজ থেকেই। এরপরই পুলিশ খোংজ শুরু করে নিধির। তারপর তাঁকে পেতেই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। নিধিকে এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে দেখা হচ্ছে।
নিধি জানিয়েছেন, ‘গাড়ির ধাক্কার পর আমি অন্যদিকে পড়ে যাই। আমার বন্ধু গাড়ির চাকার নিচে চলে যায়। গাড়িতে থাকা ব্যক্তি জানতেন যে গাড়ির নিচে কোনও মহিলা পড়ে গিয়েছেন, ঘটনার পর আমি পুলিশকে জানাইনি।আমি বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। ’ পুলিশ জানিয়েছে, নিধির বক্তব্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ সিআরপিসির আও♔তায় রেকর্ড করা হয়েছে। সদ্য পাওয়া তথ্যে দাবি করা হচ্ছে। ১ জানুয়ারি ভোররাতে হোটেল থেকে বের হন নিধি ও তাঁর বান্ধবী অঞ্জলী। সেই সময় অঞ্জলী চালান স্কুটি। পিছন থেকে সেই স্কুটিকে ধাক্কা মারে চারচাকা গাড়ি। ছিটকে পড়ে যান নিধি ও অঞ্জলী। অঞ্জলী গাড়ির চাকার নিচে চলে যান। সেই অবস্থায় ওই চারচাকা গাড়ি হিঁচড়ে রাস্তা নিয়ে নিয়ে যায় অঞ্জলীকে। ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।