কয়েকদিন আগেই ভিক্টোরিয়া গৌরীর বিচারপতি 𝓀হিসেবে শপথগ্রহ ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল। মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। তবে শেষ পর্যন্ত সেই মামলা খারিজ হয়। মাদ্রাজ হাই কোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথও নেন ভিক্টোরিয়া। আর এত কিছুর মাঝে খ্রিস্টান আইনজীবীকে নিয়ে কলেজিয়ামের প্রস্তাব ঘিরে বিতর্ক ধামাচাপা🎉 পড়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ভিক্টোরিয়া গৌরীর পাশাপাশি এক খ্রিস্টান আইনজীবীকেও হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কলেজিয়ামের তরফে। তবে কলেজিয়ামের সেই প্রস্তাব মানেনি কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, যে আইনজীবীর নামে কেন্দ্র অনুমোদন দেয়নি, তাঁর নাম এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পাঠানো হয়েছে কলেজিয়ামের তরফে।
জানা গিয়েছে, যে আইনজীবী♎র নাম সরকার অন♊ুমোদন দেয়নি তিনি হলেন অ্যাডভোকেট আর জন সত্যিয়ান। গত ১৭ জানুয়ারি কেন্দ্রের তরফে সত্যিয়ানের নাম দ্বিতীয়বারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং নিট উত্তীর্ণ হতে না পারায় এক ছাত্রী আত্মহত্যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাডভোকেট সত্যিয়ানের দুটি পোস্ট নিয়ে আপত্তি রয়েছে কেন্দ্রের। তবে সেই 'আপত্তি' মানতে চান না কলেজিয়ামের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, জাস্টিস সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং বিচারপতি কেএম জোসেফ। কলেজিয়াম সদস্যদের সাফ কথা, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্ট করার জেরে অ্যাডভোকেট সত্যিয়ানের যোগ্যতা কমছে না।' এর আগেও স্পষ্ট ভাষায় কলেজিয়ামের তরফে বলা হয়েছিল, ভারতীয় সংবিধানের ১৯এ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেকেরই মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। আর সেই মত প্রকাশের জন্য কাউকে সাংবিধানিক পদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে রাখা যায় না। বিশেষ করে সেই ব্যক্তি যদি বিচারপতি হওয়ার যোগ্য হন তাহলে মত প্রকাশের কারণে কোনও পদ পাওয়া থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা যায় না।
এর আগে আইবি-র 'আপত্তি'কে হাতিয়ার করে ২০২২ সালের নভেম্বরে অ্যাডভোকেট সত্যিয়ানের নাম কলেজিয়ামকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে 🧸তারপরও ফের একবার সত্যিয়ানের নাম কেন্দ্রকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলেজিয়াম। কিন্তু সরকার সোমবার সত্যিয়ানকে নিয়োগের সুপারিশ অমান্য করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ইস্যু সামনে তুলে ধরে বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে📖 আইনজীবী সোমশেখর সুদর্শনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ খারিজ করেছিল কেন্দ্র।
২০২১ সালের ৪ অক্টোবর বম্বে হাই কোর্টের কলেজিয়াম বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার জন্য সোমশেখরের নাম প্রস্তাব করে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে শীর্ষ আদালত। কিন্ত ২৫ নভেম্বর কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামকে এই সুপারিশটি পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করা হয়। কেন্দ্রীয় সররকারের যুক্তি ছিল, সোমশেখর আদালতে বিচারাধীন বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নিজের মত প✨্রকাশ করেছেন। আর তাই তাঁর নাম নিয়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়। যদিও কলেজিয়ামের মতে, সামাজিক মাধ্যমে সোমশেখর যা বলেছেন তা থেকে কোনওভাবে এটা মনে করা যায় না যে তিনি পক্ষপাতদুষ্ট।