১১ বছর আগে এলওসিতে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল এক ভারতীয় সেনা জওয়ানের। সেই ঘটনায় জওয়ানের বিধবা স্ত্রীকে পারিবারিক পেনশনের 𝕴নির্দেশ দꦐিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। তা সত্ত্বেও দীর্ঘ সময় ধরে সেই মামলা চালিয়ে যাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত হল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ৫০০০০ টাকা জরিমানা করল শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: খুন করে প্রায় ৩০ বছর হাজতবাস, মালদার ১০৪ বছরের রসিককে জামিন দিল সুপ্রিম কো♈রꦫ্ট
বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং এজি মসিহের বেঞ্চ বলেছে, এই জাতীয𒁏় মামলায় মামলাকারীকে এভাবে আদালতে টেনে আনা উচিত নয়। একজন মৃত সৈনিকের বিধবা স্ত্রীর প্রতি কেন্দ্রের সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত ছিল।’ জরিমানার অর্থ বিধবা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার বয়ান অনুযায়ী, মৃত সেনা জওয়ানের নাম নায়েক ইন্দ্রজিৎ সিং। তিনি অপারেশন ‘রক্ষক’-এর অংশ হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীরের এলওসি-র কাছে নিযুক্ত ছিলেন। তবে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে প্রচন্ড ঠান্ডায় দায়িত্ব পালন করার সময় তিনি জীবন হারিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর বিধবা স্ত্রীকে পারিবারিক পেনশন (এলএফটি) থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধবা। তাতে সশস্ত্র বাহিনীর ট্রাইব্যুনাল বিধবার পক্ষে রায় দিয়ে পেনশন দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু, তা সত্ত্বেও তাঁকে পেনশন প্রদান করা হয়নি।আরও ৫ বছর ধরে মামলা চালিয়ে যায় কেন্দ্র। শেষ পর্যন্ত মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টে।
সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের সেই আবেদন খারিজ করে জানায়, যে সেনা জওয়ান এলওসির কাছে একটি অপারেশনের দায়িত্ব পালন করার সময় জলবায়ুজনিত কারণে মারা গিয়েছিলেন। এই মৃত্যু যুদ্ধে মৃত্যুর মতো বিবেচনা করা উচিত। সুতরাং সেই অনুযায়ী সুবিধা পাওয়ার যোগ্য তাঁর পরিবার। যদিও কেন্দ্রের তরফে জানানো এটিকে যুদ্ধে মৃত্যুর মতো বিবেচনাযোগ্য নয়। সুপ্রিম কোর্ট ২০০৩ সালের আর্মি অর্ডার ১-এর বিভিন্ন ধারা ব্যাখ্যা করে জানায়, মামলাটি যুদ্ধের হতাহতের মধ্যে পড়বে। কারণ হল যে মৃত ব্যক্তি চরম জলবায়ুতে একটি অপারেশনের অংশ থাকার সময় মারা গিয়েছেন। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রক▨ে তিন মাসের মধ্যে মৃত সেনার বিধবা স্ত্রীর পেনশন মঞ্জুর করার নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে অযথা দীর্ঘ সময় ধরে মামলা টেনে নিয়ে যাওয়ার কারণে ২ মাসের মধ্যে বিধবা স্ত্রীকে ৫০০০০ টাকা খরচ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।