অযোধ্যা বিবাদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়তে কি ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনের বৈধতা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব মিলেছে? এই বিষয়ে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজকে সেই জবাব দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রের। তবে সুপ্রিম প্রশ্নের জব🍎াব দিতে আরও সময় চাইল কেন্দ্র। এরপরই এই মামলা সংক্রান্ত শুনানি ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে সরকারকে আগামী ১২ জিসেম্বরের মধ্যে তাদের হলফনামা পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
উল্♏লেখ্য, ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭-এ স্বাধীনতার সময় যেখানে যা ছিল, তেমনটাই রাখতে হবে। কোনও মন্দির, মসজিদ বা গির্জার চরিত্র পাল্টানো যাবে না। তবে অযোধ্যায় ধ্বংস হওয়া বাবরি মসজিদের জায়গায় তৈরি হচ্ছে রাম ꦜমন্দির। বিতর্ক রয়েছে মথুরায় শাহি ইদগাহ মসজিদ ও বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়েও।
তবে সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা রায়ে বলা হয়, ‘১৯৯১ সালের আইনটি আমাদের ইতিহাস এবং জাতির ভবিষ্যতের সাথে কথা বলে... জনসাধারণের উ🌼পাসনার স্থানগুলির চরিত্র সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে আইছে। সংসদ এটা বলেনি যে বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে নিপীড়নের যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে ইতিহাস এবং এর ভুলগুলিকে। তবে অতীতে কোথায় কী ছিল, তা ভেবে ফের মন্দির বা মসজিদের চরিত্র বদল না করাটা ধর্মনিরপেক্ষতার মূলমন্ত্র। সে কারণে এই আইন তৈরি হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, রামমন্দির-বাবরি মসজিদ নিয়ে আইনি বিবাদের চলাকালীন ১৯৯১ সালে উপাসনাস্থল আইন 🍸অনুমোদন করেছিল সংসদ। উপাসনাস্থলের চরিত্র বদলে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আইনে এও বলা হয়েছিল, এ নিয়ে কোনও মামলা করা যাবে না। অযোধ্যার বিবাদই একমাত্র ব্যতিক্রম থাকবে এই ক্ষেত্রে। যদিও উপাসনাস♛্থল আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারী উপাধ্যায়ের যুক্তি, উপাসনাস্থল আইন বৈষম্যমূলক। এর ফলে হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধরা বঞ্চিত হচ্ছেন।