২০২১ সালেই বাজি ফাটানো নিয়ে বিধিনিষেধ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০২৩ সালে এসে ফের একবার সেই বিধিনিষেধের কথা মনে করিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। শীতের আগমনী সুর বাজতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে দিল্লিতে দূষণ ছাপিয়ে যাচ্ছে সব মাত্রা। এরই মাঝে রাজস্থানে বাজি ফাটানো সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ করে, বাজি নিয়ে যে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল, তা শুধু দিল্লি নয়, বরং গোটা দেশের জন্য প্রযোজ্য। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের রায় যাতে রাজস্থানেও কার্যকর করা হয়, সেই মর্মেই একটি মামলা দায়ের হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। তার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত বলে, আলাদা করে কোনও নির্দেশের প্রয়োজন নেই। সব রাজ্যকেই ওই নির্দেশ মানতে হবে। (আরও পড়ুন: বায়ু🐻দূষণে দিল্লিকে টেক্কা কলকাতার, গোটা বিশ্বে তৃতীয় স্থানে তিলোত্তমা!)
আরও পড়ুন: পারদ নামার পূ🐷র্বাভাস, কালীপুজোর আগেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক♏ শহরে লেগেছে শীতের আমেজ
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমআর শাহ ও বিচারপতি এ এস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চ বাজি ফাটানো নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময় বলা হয়েছিল, শুধুমাত্র সবুজ বাজিই ফাটানো যাবে দেশে। যে সব বাজিতে ব্যারিয়াম সল্ট ব্যবহার করা হয়, সেগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নির্দেশে আরও বলা হয়েছিল, নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠলে সংশ্লি𒈔ষ্ট রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারদের জবাবদিহি কর🎐তে হবে।
আরও পড়ুন: চুপিসারে জারি নির্দেশ𒅌িকা, কাল✤ীপুজোয় বিনামূল্যে মিলবে ১টি গ্যাস সিলিন্ডার
এদিকে দিল্লি দূষণ নিয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সব সময়ই রাজনৈতিক চাপানউতোর চলে। এটা মোটেও কাঙ্খিত নয়। অবিলম্বে খড় পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। আমরা জানি না কী ভাবে তা বন্ধ করা সম্ভব। তবে এখনই পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। যা করার তা অবিলম্বে করতে হবে।' আদালত বলে, 'বায়ু দূষণ মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া সকলেরই দায়িত্ব।' উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং দিল্লির সরকারকে এই বায়ু দূষণ নিয়ে একটি জরুরিভিত্তিতে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে দিল্লি সরকারকে ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত বলেছে, 'দিল্লি সরকারও এই বায়ু দূষণের জন্য দায়ী। অনেক বাস রয়েছে যেগুলি বাতাস দূষিত করছে। এই বিষয়টির উপর নজর দ💜েওয়া উচিত সরকারের।' এদিকে সুপ্রিম নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেজ♍রির সরকার।