অভিযোগকারী আর অভিযুক্তের মধ্যে🍨 সমঝোতা হয়ে গিয়েছে বলে, কোনও যৌন হেনস্থার মামলা বাতিল হয়ে যেতে পারে না। সদ্য এক মামলায় রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশকে সরিয়ে রেখে এই বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে, রাজস্থান হাইকোর্ট ওই যৌন হেনস্থার অভিযোগের মামলায় এক শিক্ষককে স্বস্তি দেয়। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকেই সরিয়ে রেখে এদিন বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এই মামলার মূল ঘটনা ২০২২ সালের। ঘটনা ঘটেছিল রাজস্থানের গঙ্গাপুর সিটিতে। সেখানে এক দলিত ঘর🀅ের বালিকা অভিযোগ করেছিল, তাকে যৌন হেনস্থা করা হচ্ছে বলে। আর সেই অভিযোগ ছিল এর সরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুসারে কেস ফাইল হয়। পকসো আইনের আওতায় মামলা দায়ের হয়। এছাড়াও এসসি /এসটি অ্যাক্টেও মামলা দায়ের হয়েছে। এই নাবালিকার বক্তব্যও রেকর্🍌ড করা হয়। এপর্যন্ত ঘটনা প্রবাহ চলার পরই আসে নয়া মোড়। অভিযুক্ত শিক্ষক বিমল কুমার গুপ্তা এরপরই ওই নাবালিকার পরিবারের থেকে একটি বিবৃতি পান। সেই বিবৃতিতে লেখা ছিল, ওই নাবালিকার পরিবার ভুল বোঝাবুঝির জেরে পুলিশে অভিযোগ করে, তবে তারা আর চায়না যে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ হোক। এই বক্তব্য পুলিশ গ্রহণ করে। তবে নিম্ম আদালতে এই বক্তব্য পেশ হতেই না খারিজ হয়। তারপর সেই বিবৃতি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। এরপর হাইকোর্ট ওই বক্তব্য গ্রহণ করে, আর এফআইআর বাতিল করার নির্দেশ দেয়। এরপর গোটা ঘটনা নিয়ে সরব হন এক সমাজকর্মী।
সমাজকর্মী রামজিলাল বাইয়ওয়া এরপর এই মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টের নির্দেশকে তিনি সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন। এদিন কোর্টের ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সিটি রবিকুমার ছিলেন বিচারপতি পিভি সঞ্চয় কুমার। তাঁদের বেঞ্চ হাইকো🌄র্টের নির্দেশকে সরিয়ে দেয়। পাশাপাশি কোর্টের সাফ বার্তা, দুই পক্ষের মধ্যে 'সমঝোতা' কোনও কারণ হতে পারে না যৌন হেনস্থার মামলা বাতিলের ক্ষেত্রে।