আরজি কর কাণ্ডের আবহেই নাবালিকাদের যৌন আচরণ সংক্রান্ত একটি মജামলায় বড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। কিশোরীদের যৌন ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত বলে পর্যবেক্ষণ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিতর্কিত সেই পর্যবেক্ষণ খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। একইসঙ꧒্গে অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া নিম্ন আদালতের রায়ও বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: '১৪ তারিখে পা🧸লিয়ে যাওয়া' পুলিশ নয়, আরজি করের নিরাপত্তায় এবার CISF, নির্দেশ S꧟C-র
গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যৌন নিপীড়নের একটি মামলায় ওই অভিযুক্তকে খালাস দিয়েছিল। সেই মামলাতেই পর্যবেক্ষণ করার সময় কিশোরীরের যৌন ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছিল রাজ্যের উচ্চ আদালত। বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের বেঞ্চ এই পর্যবেক্ষণ করেছিল। পরে রাজ্য সরকারের আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট স্⛎বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছিল🅘।
উল্লেখ্য, কিশোরীর সঙ্গে ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ, সম্পর্কে থাকাকালীন ওই যুবক তাকে ধর্ষণ 🐟করেছিল। স🎀েই মামলায় যৌন নির্যাতনের জন্য নিম্ন আদালত তাকে ২০ বছরের সাজা দিয়েছিল। পরে যুবক কলকাতা হাইকোর্টে গেলে সে বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। পর্যবেক্ষণে হাই কোর্ট বলেছিল, কিশোরীদের যৌন ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণে করা উচিত। মাত্র ক্ষণিকের তৃপ্তির জন্য সেই নিয়ন্ত্রণ হারানো উচিত নয়। আর সেই সঙ্গে ছেলেদের কিশোরী, মহিলা, তাঁদের মর্যাদা এবং শারীরিক স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতে বলেছিল আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় ওকা এবং বিচারপতি উজ্জল ভুঁইয়ার বেঞ্চ জানায়, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি যে হাইকোর্ট এমন অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে যা অপ্রাসঙ্গিক ছিল। প্রাথমিকভাবে, আমরা মনে করি যে এই ধরনের রায় লেখার সময়, বিচারপতিরা তাদের ব্যক্꧂তিগত মতামত প্রকাশ করেছেন। তা আশা করা যায় না।&ℱnbsp;
কী ভাবে রায় লিখতে হবে, তার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কিশোর-কিশোরীদের বিষয়ে মামলায় বিশেষ সংবেদনশীল এবং স♋তর্ক থাকতে হবে।’ শীর্ষ আদালত দোষীর শাস্তির বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে। সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিত꧑ে দোষীর শাস্তি দেওয়া হবে।