বৈ💖বাহিক ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে স্বামীদের কি ‘সুরক্ষাকবচ’ থাকা উচিত? কেন্দ্রীয় সরকার মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেও সেই ‘সুরক্ষাকবচ’-র আইনি বৈধতা বিচার করে দেখা হবে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে স্রেফ আইনি নীতির ভিত্তিতে বিষয়টি বিচার করে দেখবে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে, ‘এটা আইনের ব্যাপার। ওরা যদি হলফনামা পেশ না করে, তাহলে আইনি দিক ♔থেকে ওদের সওয়াল করতে হবে।'
দ্রুত শুনানির আর্জি মামলাকারীদের
সুপ্রিম কোর্ট সেই মন্তব্য করেছে এক মামলাকারীর আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংয়ের আর্জির পরে। দ্রুত যাতে ওই বিষয়টি শোনꦕা হয়, সেই আর্জি জানান তিনি। অপর এক আইনজীবী জানান যে একাধিক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে হলফনামা দাখিল করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। পরিষ্কার করেনি নিজেদের অবস্থান।
বিবাহিত মহিলাদের প্রতি বৈষম্যমূলক, বক্তব্য মামলাকারীদের
এমনিতে ওই মামলাটি বুধবার সুপ্রিম কোর্টের তালিকায় ছিল। কিন্তু অপর একটি মামলায় দিনভর শুনানির জেরে সেই বিষয়টি শুনতে পারেনি সুপ্রিম কোর্ট। ꦇআপাতত শীর্ষ আদালত একগুচ্ছ পিটিশন শুনছে, যা বর্তমানে বাতিল হয়ে যাওয়া ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ নম্বর ধারার দ্বিতীয় 'ব্যতিক্রম'-র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা হয়েছে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ নম্বর ধারার দ্বিতীয় 'ব্যতিক্রম'-র আওতায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী'কে ধর্ষণের মামলা করা যায় না। অর্থাৎ স্ত্রী'র অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্বামী যদি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করার ক্ষেত্রে ‘সুরক্ষাকবচ’ প্রদান করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মামলাকারীরা। সেই বিষয়টির বিরোধিতা করে যে জনস্বার্থ মামলাগুলির দায়ের করা হয়েছে, তাতে সওয়াল করা হয়েছে, ভারতীয় দণ্ডব꧂িধিতে যে ব্যতিক্রম ছিল, তা বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক। যাঁরা তাঁদের স্বামীর হাতে নির্যাতিত হন।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় একই 'সুরক্ষাকবচ' আছে
আর ১ জুলাই থেকে ভারতীয় দণ্ডবিধির পরিবর্তে যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা কার্যকর হয়েছে, সেটার ৬৩ নম্বর ধারার দ্বিতীয় 'ব্যতিক্রম'-এ একই বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ তাতে বলা হয়েছে যে ‘স্ত্রীয়ের বয়স যদি ১৮-র কম না হয়, তাহলে স্ত্রী'র সঙ্গে যৌন স𒐪ম্পর্ক স্থাপন বা যৌনাচার করেন, তাহলে সেই বিষয়টি ধর্ষণ নয়।’
সেই বিষয়টি নি✅য়ে গত বছর ১৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (তখনও ভারতীয় দণ্ডবিধি বাতিল হয়ে যায়নি)। পরবর্তীতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একইরকম ধারা নিয়ে যে মামলা দায়ের হয়েছিল, তা নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারে নোটিশ জারি করেছিল শীর্ষ আদালত। অতীতে অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল যে ওই বিষয়টির যেমন আইনি প্রভাব আছে, তেমন সামাজিক প্রভাবও আছে। তাই হলফনামা দাখিল করতে চায় বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।