গুজরাটের সুরাটে শনিবার ভেঙে পড়েছিল একটি বহুতল ভবন। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সেই বিল্ডিং ভেঙে পড়ার ১৭ ঘণ্টা পরও ধ্বংসস্তূপে আরও বেশ কয়েকজন আটকে আছে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদেরকে উদ্ধার করার জন্যে অভিযান জারি রয়েছে রবিবার সকালেও। জানা গিয়েছে, বিল্ডিং ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে সেখানে উদ্ধারকারী দল পৌঁছায় প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। সুরাটের সচিন নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সুরাটে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মাঝে এই বিপর্যয় ঘটে। এদিকে উদ্ধার অভিযান শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই এক মহিলাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। পরে তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় গভীর রাতে। পরে আরও চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও সেখানে বেশ কয়েকজন আটকে আছে বলে জানিয়েছেন সুরাট পুলিশের কমিশনার অনুপস সিং গেহলট। (আরও পড়ুন: লাদাখের দিকে এগোচ্ছে PLA, প্যানগংয়ের কাছেই তৈরি চিনা বাঙ্কার, ম🌺োতায়েন সামরিক যান)
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জোড়া এনকাউন্টারে শহিদ ꧂২ জওয়ান, জবাবে ৪ জঙ্গিকে খতম করল সেনা
রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার দুপুর তিনটে নাগাদ সচিন এলাকায় একটি ছ'তলা বাড়ি ভেঙে পড়ে। ওই ভবনে বসবাসকারী অনেকেই ভেতরে আটকা পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল। জানা গিয়েছে, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ উভয় দলই সারারাত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে গিয়েছে। সকালেও সেই অভিযান জারি আছে। জানা গিয়েছে, সেই ভবনে মোট ৩০টি ফ্ল্যাট ছিল। তবে তার মধ্যে থেকে মাত্র ৪-৫টি ফ্ল্যাটেই লোকজন বসবাস করত। বাকি ফ্ল্যাটগুলি ফাঁকাই ছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভেঙে পড়া বিল্ডিংটি ২০১৬-১৭ সাল নাগাদ নির্মাণ করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বিল্ডিংয়ে বসবাসকারীদের কেকজন রাতের শিফটে কাজ করতেন। দুপুরে তাঁরা ঘুমো🍌চ্ছিলেন। এই আবহে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁরা ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে যান।
এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে মোরবি শহরে একটি নির্মীয়মাণ মেডিক্যাল কলেজ ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে চার শ্রমিক আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজন আবার ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছিল। প্রায় সাত ঘণ্টা আটকে থাকার পর তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছিল। গত ৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে শ্রমিকরা নতুন ভবনের দোতলায় ছাদ ভরাটের কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটেছিল। এদিকে গত ৩০ জুন দিল্লির হর্ষ বিহার এলাকায় একটি পুরনো বাড়ির ছাদের একাংশ ধসে ছয় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, সন্ধ্যায় যখন ঘটনাটি ঘটে তখন ছাদে খেলছিল ওই কিশোর। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা কর🦂েন।