কাশ্মীর ইস্যুকে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে নিয়ে গিয়ে ঐতিহাসিক ভুল (ব্লান্ডার) করেছিল জওহরলাল নেহরু সরকার। এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার লোকসভায় তিনি দাবি করেন, কাশ্মীর ইস্যুতে দুটো ভয়াবহ ভুল করেছিল নেহরু সরকার। প্রথমত, যখন ভারতীয় সেনা যুদ্ধ জয়ের মুখে দাঁড়িয়েছিল, তখন সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। আর তিনদিন যুদ্ধ চললে আজ পাকি💖স্তান-অধিকৃত কাশ্মꦜীরের কোনও অস্তিত্বই থাকত না। দ্বিতীয় ভুলটা আরও মারাত্মক ছিল। অকারণে কাশ্মীর ইস্যুকে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। আর সেটা ঐতিহাসিক ‘ব্লান্ডার' ছিল। যেটার ফল দশকের পর দশক ধরে কাশ্মীরের মানুষকে ভুগতে হয়েছে।
বুধবার লোকসভায় ২০২৩ সালের জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল এবং ২০২৩ সালের জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস বিল নিয়ে আলোচনার সময় শাহ বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দায়বদ্ধতার সঙ্গে বলছি, যখন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেইসময় যে দুটি ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, জম্মু ও ক🧜াশ্মীরকে দশকের পর দশক ধরে সেই ভুলের ফল ভুগতে হয়েছে। দুটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলে⛄ন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।'
তিনি বলেন, 'সবথেকে বড় ভুল হল, আমাদের সেনা জিতছিল। কিন্তু পঞ্জাবের কাছে যেতেই সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের জন্ম হয়েছিল। যদি তিনদিন পরে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা করা হত, তাহলে ভারতের মধ্যেই থাকত পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর। দ্বিতীয়ত, আমাদের (কাশ্মীর)🦩 ইস্যুকে রাষ্ট্রসংঘে নিয়ে যাওয়ার ভুল করা হয়েছিল।'
সেই দ্বিতীয় ভুলটা আরও ব্যাখ্যা করেন শাহ। তিনি দাবি করেন যে পরবর্তীতে ফারুক আবদুল্লাকে লেখা চিঠিতে নিজেℱই সেই ভুলের কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন নেহরু। শাহের কথায়, ‘আমি একটা উক্তি পড়ে শোনাতে চাই। এটা একটি চিঠির অংশ। রাষ্ট্রসংঘের সিদ্ধান্তের পরে আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে সেখান থেকে কোনও সন্তোষজনক ফলাফলের আশা করা যায় না। আমার মনে হয়েছিল যে এটা ভালো সিদ্ধান্ত। কিন্তু এই বিষয়টা ঠিকভাবে সামলানো হয়নি। সংঘর্ষবিরতি চুক্তির ক্ষেত্রে আরও কিছুটা আলোচনা করে ভালো কিছু পন্থা বেছে নেওয়া যেত। আমার মনে হয়, তাড়াহুড়োর মধ্যে আমরা এটা ভুল করেছি।’
শাহের আরও বলেন, ‘কাশ্মীর ইস্যুকে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে নিয়ে খুব তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল। যদি রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যু🀅 নিয়ে যেতেই হত, তাহলে রাষ্ট্রসংঘের সনদের ৫১ নম্বর ধারার আওতায় নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ৩৫ ধারার আওতায় উত্থাপন করা হয়েছিল। আমার মতে, কাশ্মীর ইস্যুটা রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে উত্থাপনের কোনও দরকারই ছিল। কয়েকজন সেই পরামর্শ দিয়েছিলেন। ভুল নয়, ওটা ব্লান্ডার নয়। এই দেশের এতটা জমি হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল, ওটা ঐতিহাসিক ব্লান্ডার ছিল।’