সোমনাথ মন্দিরে 'মূর্তি গুঁড়িয়ে দেওয়া’ মুসলিম শাসককে 'যোদ্ধা'-র তকমা দিল তালিবান। সেই মুসলিম শাসক সুলতান মেহমুদ গভনভির রীতমতো প্রশংসাও করল তালিবান আনাস হক্কানি। মঙ্গলবার টুইটারে একাধিক পোস্ট করে তালিবান সরকারের নয়া অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হক্কানির (জঙ্গি) ভাই বলেছে, ‘আজ আমরা দশম শতকের বিখ্যাত মুসলিম যোদ্ধা এবং মুজাহিদ সুলতান মেহমুদ গভনভির সমাধিস্থলে গিয়েছিলাম। গজনি এলাকা থেকে গজনভি শক্তিশালী মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং সোমনাথের মূর্তি ভেঙে দিয়েছিলেন।’ সঙ্গে আনাস যোগ করেছে, ‘এই ধরনের স্থান আমাদের স্বাধীনতা, গর্ব এবং সাহসের ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করে।’ উল্লেখ্য, তুরস্কের রাজবংশ গভনভির প্রথম স্বাধীন শাসক ছিলেন সুলতান মেহমুদ গভনভি। যিনি ৯৯৮ সাল থেকে ১০৩০ সাল পর্যন্ত শাসন করেছিলেন। ইতিহাসের খতিয়ান অনুযায়ী, নিজের শাসনকালে ১৭ বার সোমনাথ মন্দিকে আক্রমণ চালিয়েছিলেন গভনভি। ১০২৪ সালে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। যে মন্দিরে মূলত শিবের আরাধানা করা হয়। তবে শুধু সোমনাথ মন্দির নয়, গজনভির নিশানায় বিভিন্ন থাকত বিভিন্ন হিন্দু মন্দির। কারণ সেই মন্দিরগুলি ছিল হিন্দু ধর্মের মতাদর্শের পীঠস্থান। পাশাপাশি মন্দিরে ধন-সম্পত্তিও থাকত। তা লুঠ করে নেওয়া হত। অন্যদিকে, দোহায় শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনার টেবিলে তালিবানের অন্যতম প্রতিনিধি ছিল আনাস। গত ১৫ অগস্ট কাবুল পতনের পর থেকেই ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে তালিবান এবং পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী হক্কানি নেটওয়ার্ক। যে দুই জঙ্গি গোষ্ঠী নব্বইয়ের দশকে কাছাকাছি এসেছিল। এমনকী গত মাসে ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দ্য স্পেক্টেটরের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, চরমে উঠেছে আফগানিস্তানে অভ্যন্তরীণ তালিবানি সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা বরাদর এবং হক্কানি জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব। বরাদরকে বন্দি করে রাখা হয়।