তামিলনাড়ুর রাজ্য সঙ্গীত বিতর্কে এবার মুখ্যমন্ত্রী বনাম রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। একদিকে যেখানে রাজ্যপালকে সরানোর দাবিতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। সেখানেই রাজ্যপাল আরএন রবির পালটা অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে বর্ণবাদী মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুর রাজ্য সঙ্গীত থেকে ‘দ্রাবিড়’ শব্দটি বাদ দেওয়া নিয়েই এই বিতর্কের সূত্রপাত। (আরও পড়ুন: আরও কড়া ভাꦯরত, পলাতক সন্ত্রাসবাদীদে🐼র তালিকায় কানাডার পুলিশ আধিকারিকের নাম)
আরও পড়ুন: ফের বোমাতঙ্ক ভারতীয় বিম🐬ানে, লন্ডন-দিল্ল𝕴ি উড়ান অবতরণ করল জার্মানিতে
আরও পড়ুন: 'কানাডায় বাকি ভারতীয় কুটনীতিকর𓂃া…', সংঘাতের মাঝেই বড় হুঁশিয়ারি ট্রুডোর মন্ত্রীর
এই আবহে এমকে স্ট্যালিন বলেন, 'দ্রাবিড় শব্দটি বাদ দিয়ে তামিলনাড়ুর রাজ্য সঙ্গীত গাওয়া তামিলনাড়ুর আইনের লঙ্ঘন। যে মানুষ আইন না মেনে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী চলেন, রাজ্যপালের পদে তাঁর থাকারই কথা নয়। ভারতকে উদযাপন করতে গিয়ে রাজ্যপাল দেশের ঐক্যকে অপমান করছেন এবং তামিলনাড়ুতে বসবাসকারী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকেও 💞অপমান করছেন। ‘দ্রাবিড়িয়ান’ অ্যালার্জিতে ভুগতে থাকা রাজ্যপালের কি এত সাহস হবে যে তিনি জাতীয় সঙ্গীত থেকে এই শব্দটি বাদ দিতে পারেন? কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এখনই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া। তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে তামিলনাড়ু ও এখানকার মানুষদের ভাবাবেগকে আঘাত করেছেন।'
এদিকে রাজ্যপালের দফতরের তরফ থেকে স্ট্যালিনের এহেন অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়ে🌸ছে, যে অনুষ্ঠানে রাজ্য সঙ্গীত নিয়ে এই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সেখানে রাজ্যপাল একজন অতিথি হিসেবে গিয়েছিলেন। তিনি রাজ্য সঙ্গীত সম্পর্কে কোনও নির্দেশই সেখানে দেননি। যাঁরা গানটি গাඣইছিলেন, তাঁরাই ভুল করে সেই লাইনটি বাদ দিয়েছিলেন। পরে রাজ্যপাল সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, 'মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে বর্ণবাদী মন্তব্য করেছেন এবং মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তিনি খুব ভালো করেই জানেন যে প্রতিটি অনুষ্ঠানেই আমি গোটা রাজ্য সঙ্গীত গেয়ে থাকি।'
'তামিল থাই বাজথু' গানটি তামিলনাড়ুর রাজ্য সঙ্গীত। প্রতিটি সরকারি অনুষ্ঠানের আগে সেই গানটি গাওয়া হয়। সম্প্রতি তামিল দূরদর্শনের এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই অনুষ্ঠানের শুরুতেও গানটি গাওয়া হয়েছিল। তবে সেই গানের একটি লাইন বাদ পড়েছিল। সেই লাইনে 'দ্রাবিড়' শব্দটি ছিল। আর এর পরই স্ট্যালিনের খোঁচা, রাজ্যপালের ‘🐎দ্রাবিড়িয়ান’ অ্যালার্জি রয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ཧদূরদর্শনও ক্ষমা চেয়েছে। তারা এই ঘটনার জন্যে গায়কদের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছে।