২৬/১১-র মুম্বই হামলার অপরাধীদের আনার কাজ অসমাপ্ত রꩵয়ে গিয়েছে। আর তার কারণ একটাই। এই ভয়ঙ্কর হামলার মূল চক্রীরা সুরক্ষিত অবস্থায় লুকিয়ে আছে। শুক্রবার এমনটাই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে কিছু সন্ত্রাসবাদীকে নিরাপত্তা পরিষদ নিষিদ্ধ করতে পারেনি।
রাষ্ট্রসংঘে 'স্থানীয় প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবাদ ও তার অর্থায়ন মোকাবিলা' শীর্ষক বৈঠকে নিজের এই মত প্রকাশ করেন বিদেশমন্ত্রী। UN-এর বিবে༒চনার জন্য পাঁচটি পয়েন্টের একটি রূপরেখা তুলে ধরেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাস মোকাবিলা কমিটির বিশেষ বৈঠকের অংশ ছিল এটি। ২৬/১১💜 মুম্বই হানার কেন্দ্রস্থল, মুম্বইয়ের তাজ মহল প্যালেস হোটেলেই এই আলোচনা হয়।
এস জয়শঙ্কর বলেন, 'সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে একজনকে জীবিত ধরা হয়েছিল। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে বিচার হয়েছিল এবং দোষী সব্যস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ২৬/১১ হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী এবং পরিকল্পনাকারীরা এখনও নিরাপদে রয়ে গিয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'দুঃখজনক বিষয় হল, নিরাপত্তা পরিষদ রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে কিছু ক্ষেত্রে এই সন্ত্রাসবাদীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারেনি। এটি আমাদের যৌথ বিশ্বাসযোগ্যতা এবং আমাদের সম্মিলিত স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করে।' আরও পড়ুন: দেশের সব রাজ্যে পুলিশের একই ইউনিফর্ম? চিন্তন ⭕শিবিরে ‘ভেবে দেখার’ বার্তা মোদীর
সন্ত্রাসবাদ দমনে জয়শঙ্করের ৫ দাওয়াই
সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অর্থায়নের বিষয়ে জয়শঙ্কর বলেন, 'সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূল দিকগুলির মধ্যে অন্যতম হল, এর অর্থায়নকে দমন করা। কারণ এই টাকার মূলধনই হল সন্ত্রাসবাদের প্রাণ। বাস্তব এটাই যে, সন্ত্রাসবাদের অস্তিত্ব অব্যাহত রয়েছে। ক্রমেই তা প্রসারিত হচ্ছে। এটি একটি অন্তর্নিহিত ছবি তুলে ধরছে। এর থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, সন্ত্র🌃াসবাদীরা প্রয়োজনীয় আর্থিক সংস্থান পাচ্ছে।'
জয়শঙ্কর রাষ্ট্রসংঘ কমিটির বিবেচনার জন্য পাঁচটি পয়েন্ট উল্লেখ করেন। পাকিস্তানের নাম না করে তিনি FATF-এর উল্লেখ করেন। FATF-এর সম্পূর্ণ অর্থ হল, ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স। এই সংগঠন সম্প্রতি পাকিস্তানꦐকে তাদের ধূসর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
জয়শঙ্কর যে পাঁচটি বিষয় তুলে ধরেন, সেগুলি হল:
১. সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অর্থায়ন প্রতিরোধে কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এফএটিএফ-এর মতো অন্যান্য ফোরামের সঙ্গে সহযোগিতার ম𒁃াধ্যমে রাষ্ট্রসংঘের প্রচেষ্টাকে সর্ব-সমন্বিত করতে হবে।
২. শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে যেন নি♒রাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত অকার্যকর না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং ꦆসন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ধ্বংস করে ফেলতে হবে। এভাবে সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে স🍨মন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪.ౠ অস্ত্র এবং অবৈধ মাদক পাচারের মত আন্তর্জাতিক সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র এখন বেশ স্পষ্ট ও প্রমাণিত। এটি চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
৫. সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি বিভিন্ন সূত্র মারফত টাকা সংগ্রহ করছে। ফলে সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহৃত নতুন প্রযুক্তির🅺 মোকাবিলায় আমাদের উদ্ভাবনী সমাধান থাকা প্র🎶য়োজন।
মুম্বই হামলার কথা স্মরণ করে জয়শঙ্কর বলেন, '১৪ বছর আগে, মুম্বই আমাদের সমসাময়িক সবচেয়ে মর্মান্তিক সন্ত্রাসবাদী হামলার সাক্ষী হয়েছিল। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে ১৪০ ভারতীয় এবং ২৩টি অন্যান্য দেশের ২৬ জন নাগরিক প্রাণ হারান। প্রকৃতপক্ষে, পুরো শহরটিই সীমান্তের ওপার থেকে আসা সন্ত্রাসবাদীদের জিম্মায় চলে গিয়েছিল।' আরও পড়ুন : Jadavpur Universi🌱ty: আর্থিক সংকটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, টাকা দিচ্ছে না সরকার?