মা কালীর ‘বিতর্কিত’ পোস্টার নিয়ে মুখ খুললেন তসলিমা নাসরিন। বিতর্কিত পোস্টা♏রের প্রেক্ষিতে সমাজের একাংশের ক্ষোভ-বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে (যদিও সরাসরি নিজের ফেসবুক পোস্টে সেই পোস্টারের নাম উল্লেখ করেননি) লেখিকা দাবি করেন, ‘হিন্দুরা দিন দিন মুসলমান হয়ে উঠছে।’
মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে তসলিমা লেখেন, ‘হিন্দুদের যে জিনিসটা আমার ভালো লাগে, তা হল তাদের ভগবান💟কে যে যে রূপেই দেখুক, যে যেভাবেই কল্পনা করুক, এমনকী ভগবানকে যা খুশি তাই বলুক, তাতে তাদের কিছু যায় আসে না।' তসলিমা আরও বলেন, 'আদিকাল থেকে মানুষ এক ভগবানকে মেনেছে, আরেক ভগবানকে মানেনি। অথবা সব ভগবানেরই সমালোচনা করেছে।’
সেখানেই থামেননি তসলিমা। তিনি দাবি করেন, মুসলিমদের থেকেই উগ্রতা শিখেছেন হিন্দুরা। তিনি বলেন, 'ভগবান সম্পর্কে সে কেন অমন কথা বলল, এতে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে, সুতরাং আঘাতকারীর মুন্ডু চাই। এটা হিন্দুরা শিখেছে উগ্র মুসলিমদের কাছ থেকে। অথচ অনুভূতিতে আঘাত লাগার অজুহাতে উগ্র মুসলিমদের জ্বালাও পোড়াও, ভাঙচুর, ফাঁসি চাই, মুন্ডু চাইকে ওরা সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে। যা ঘৃণা কর, তা গ্রহণ কর ক🃏েন, শুনি।' সঙ্গে যোগ করেন, ‘🐽দুঃখ এই, হিন্দুরা দিন দিন মুসলমান হয়ে উঠছে।’
কী নিয়ে বিতর্ক?
সম্প্রতি ডকুমেন্ট্রি ফিল্মমেকার লীনা মান𒈔িমেকালা♔ইয়ের ‘কালী’ সিনেমার ‘অবমাননাকর’ পোস্টার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পোস্টারে মা কালীর বেশে এক মহিলাকে দেখা গিয়েছে। নেটিজেনদের একাংশ লীনার বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ করেছেন। পরিচালককে গ্রেফতারির দাবিও উঠেছে। ইতিমধ্যে দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
যদিও রোষের মুখে পড়ে লীনা বলেছেন, ‘ভালোবাসাকে বেছে নিন, ঘৃণাকে নয়।’ তিনি দাবি করেছে, ‘কানাডার সংস্কৃতির বৈচিত্র্য নিয়ে ছবি বানানোর জন্য টরেন্টো মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। (সেজন্য) মা কা𓆏লী ছবিটি আমি তৈরি করেছি। তাতে আমি অভিনয়ও করেছি♕।’
সেইসঙ্গে লীনা দাবি করেন, 'একটি সন্ধ্যার গল্প নিয়ে এই ছবি তৈরি করেছি, যখন টরেন্টোর রাস্তায় মা কালী আবির্ভূত হন। যদি আপনি এই ছবিটা দেখেন তাহলে লীনা মানিমেকালাইকে গ্রেফতারির দাবি জানাবেন না। বলবেন, লীনা তোমায় আমরা ভালোবাসি। আমার কালী কথ🍌া বলবেন বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে। ভালোবাসা যে শ্রেষ্ঠ ধর্ম, সেই বার্তা দেবে।'