ইস্পাত, গাড়ি, বিমান সংস্থা থেকে নুন, চা... ‘টাটা’ ব্র্যান্ডের পণ্যের সম্ভার বৃহৎ। এবার সেই পণ্য ভাণ্ডারে যোগ হতে পারে জল। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিসলেরি স♛ংস্থার শেয়ার কেনার জন্য সম্প্রতি প্রস্তাব পেশ করেছে টাটা গোষ্ঠী। টাটা গ্রুপের এফএমসিজি (Fast-moving consumer goods) শাখা টিসিপিএল (Tata Consumer Products Ltd) এই আলোচনা শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, টাটা গোষ্ঠী প্যাকেজড ড্রিংকিং🌺 ওয়াটার ব্যবসায় প্রবেশ করার বিষয়ে উত্তেজিত। এই কারণেই টাটা গোষ্ঠীর তরফ থেকে বিসলারিতে অংশীদারিত্ব কেনার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিসলেরিতে যদি টাটা শেয়ার কিনতে সক্ষম হয়, তাহলে তা এই সতাব্দী প্রাচীন গোষ্ঠীকে ‘এন্ট্রি-লেভেল’, ‘মিড-সেগমেন্ট’ এবং ‘প্রিমিয়াম প্যাকেজড’ পানীয় জলের বিভাগে একটি বিশাল পদচিহ্ন রাখতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, এই ব্যবসায় প্রবেশের ফলে খুচরো ব্যবসায় প্রসার ঘটবে টাটা গোষ্ঠীর। তাছাড়া টাটার হোটেল ব্যবসা এবং বিমান সংস্থার জলের পাইকারি সরবরাহের সমস্যা মিটবে। পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, বিমানবন্দরের মতো স্থানে রেডি-টু-মার্কেট নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি পাবে টাটা গোষ্ঠীর। উল্লেখ্য, ‘হিমালয়ান’ ব্র্যান্ড নামে টাটা গোষ্ঠী পানীয় জল বিক্রি করে বাজারে। তবে বিসলেরি এই খাতে টাটা গোষ্ঠীর থেকে অনেকটাই ওপরে। এদিকে হিমালয়ান ছাড়াও টাটা গোষ্ঠী ‘টাটা কপার প্লাস’ এবং ‘টাটা গ্লুকো’ নামক পণ্য বিক্রি করে। তবে সেগুলি এখনও এই সেক্টরে সেভাবে ওপরে উঠতে পারেনি।
রম♊েশ চৌহানের মালিকানাধীন বিসলেরি ইন্টারন্যাশনালের ১৫০টিরও বেশি কারখানা রয়েছে ভারতে। তাছাড়া ৫০০০ ট্রাক সহ চার হাজারেরও বেশি ডিস্ট্রিবিটারের নেটওয়ার্ক রয়েছে। পাশাপাশি ২০২১ সালে বিসলেরি পানীয় জলের প🦩াশাপাশি হাইজিন ব্যবসাতেও প্রবেশ করেছে। কোভিডকালে ‘হ্যান্ড পিউরিফায়ার’ উৎপাদন শুরু করে বিসলেরি।
এদিকে ২০২১ অর্থবর্ষের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বোতলজাত পানীয় জলের ব্যবসার মূল্য ১৯ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। বিশ্লেষকদের মতে, উপভোক্তাদের মধ্যে বোতলজাত জলের জনপ্রিয💞়তা ক্রমেই বাড়ছে। কোভিড পরবর্তী সময়ে বোতলজাত জলকে বেশি স্বাস্থ্যকর বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সচেতন উপভোক্তারা।