🦄 অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াঙে ভারত-চিনা সেনার সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনার দাবিতে আজও উত্তাল সংসদ। সরকার পক্ষের তরফে আলোচনার দাবি না মেনে নেওয়াতে আজ সংসদের কার্যক্রম বয়কট করার ডাক দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই চিনের সঙ্গে সংঘাতের ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। তবে সেই দাবি মানেনি সরকার পক্ষ। এই আবহে এর আগেও সংসদ থেকেও ওয়াকআউট করেছের বিরোধী সাংসদরা।
🐭প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে সংঘাতে জড়ায় ভারতীয় ও চিনা সেনা। প্রায় ৩০০ সৈন্যকে নিয়ে তাওয়াঙের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে এসেছিল চিন। তাদের রুখে দেয় ভারতীয় সেনা। সংঘাতের জেরে কয়েকজন ভারতীয় এবং চিনা সেনার কয়েকজন জওয়ান জখম হয়েছেন। ভারতের তুলনায় চিনের বাহিনীতে আহতের সংখ্যা অনেক বেশি। সূত্রের খবর, সীমান্তে ভারতের প্রস্তুতি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিল চিন। এদিকে শুক্রবারের সংঘাতের ঘটনা ভারতের যে জওয়ানরা আহত হয়েছেন, তাঁদের গুয়াহাটি সামরিক হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
✤এই আবহে এই ইস্যুতে সংসদের উভয় কক্ষে বিবৃতি পেশ করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সংসদে রাজনাথ সিং তাওয়াং সংঘাত নিয়ে বলেন, ‘আমি এই হাউসকে জানাতে চাই যে আমাদের কোনও সৈন্য এই সংঘর্ষে মারা যায়নি এবং কেউ গুরুতর জখম হয়নি। ভারতীয় সামরিক কমান্ডারদের সময়মত হস্তক্ষেপের কারণে পিএলএ সৈন্যরা তাদের জায়গায় ফিরে যায়। ঘটনার পরে এলাকার স্থানীয় কমান্ডার ১১ ডিসেম্বর চিনা প্রতিপক্ষের সঙ্গে একটি পতাকা বৈঠক করেন এবং ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা করেন। চিনা পক্ষকে এই ধরনের পদক্ষেপ করতে বারণ করা হয়েছে এবং সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে। বিষয়টি চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়েও তোলা হয়েছে। আমি হাউসকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের বাহিনী আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এর বিরুদ্ধে যে কোনও প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করতে সর্বদা প্রস্তুত। আমি নিশ্চিত এই হাউস আমাদের বাহিনীর বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য এক কণ্ঠের পক্ষে থাকবে।’ তবে রাজনাথের এই বক্তব্যে মন গলেনি বিরোধীদের। তাঁরা সরকারকে আরও প্রশ্ন করতে চায়। এই আবহে আপাতত সংসদ উত্তাল থাকবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।