প্রসূন কে মিশ্ররবিবার সন্ধ্যায় গোটা বিহার জুড়ে বজ্রপাত। অন্তত ১০জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ঔরঙ্গাবাদ, গয়া, কৈমুর, রোহতাস, পশ্চিম চম্পারন জেলায় প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির মধ্য়েই একের পর এক বজ্রপাত। বেশিরভাগই খোলা জায়গায় ছিলেন। সেই সময় বাজ পড়ে।এক মহিলা সহ চারজন জখম হয়েছেন বলে খবর। তিনজন ঔরঙ্গাবাদের ও একজন রোহতাসের। ঔরঙ্গবাদের অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। গয়াতে মাঠে মহিষ চড়াচ্ছিলেন কয়েকজন। সেখানেই বাজ পড়ে। সেখানেই প্রিন্স কুমার(১৬), রোহিত কুমার(১৫) ও সিদ্ধেশ্বর যাদবের( ৫৫) মৃত্যু হয়েছে। অপর একটি ঘটনায় মণীষ কুমার (১২), হরেন্দ্র সিং( ৩০) ও যুগল রাম( ৬০) মৃত্যু হয়েছে।কৃষক অজয় কুমার বিন্দের মৃত্যু হয়েছে সোনহান কাইমুরে। প্রমোদ চন্দ্রবংশীর মৃত্যু হয়েছে গয়াতে। কাঞ্চনপুর গ্রামে মৃত্যু হয়েছে ভগবান পাসোয়ানের। বেতিয়াতে অপর এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁরা খোলা আকাশের নীচে ছিলেন। কেউ হয়তো মাঠে কাজ করছিলেন। সেই সময় আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামে। সঙ্গে শুরু হয়ে বজ্রপাত। তবে বার বার বলা হয়েছে বজ্রপাতের সময় কেউ খোলা জায়গায় থাকবেন না। কিন্তু তারপরেও এই ঘটনা।পরিসংখ্যান বলছে, ১ এপ্রিল থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ভারতে বজ্রপাতে অন্তত ৪২৯জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২২ সালে এই সংখ্য়াটা ছিল ৩০০ জন। তবে ২০২৩ সালে সেই সংখ্য়া আচমকাই বেড়ে গিয়েছে। নিউ দিল্লির সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট( সিএসই)-এর তথ্য় অনুসারে গোটা বিষয়টি জানা গিয়েছে।আর বিহারে তো পরিস্থিতি একেবারে ভয়াবহ। ২৫ জুলাই পর্যন্ত বিহারে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। এবার বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ১৬০জনের। আর গত বছর এই সংখ্যাটা ছিল ৫৭জন।