দু'রাজ্যের সীমান্তে বিবাদ নতুন কিছু নয়। যা শনিবার রাতে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। তা সমাধানের জন্য সোমবার অসম ও মেঘালয়ের মুখ্যসচিবের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। বিষয়টি নিয়ে আপাতত কেন্দ্রের তরফে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। শনিবার রাতে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল অসম-মেঘালয় সীমান্ত। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল সীমান্তবর্তী এলাকার কয়েকটি বাড়ি। আহত হয়েছেন কমপক্ষে সাতজন। মিজোরামের তথ্য এবং জনসংযোগ বিভাগের তরফে জানানো হয়েছিল, অসমের কাছার জেলার লায়লাপুরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিজোরামের কোলাসিব জেলার বাইরেংতের বাসিন্দাদের সংঘর্ষ বাধে। কোলাসিবের ডেপুটি কমিশনার এইচ লাথালাংলিয়ানা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছিলেন, শনিবার সন্ধ্যায় সীমান্ত লাগোয়া একটি অটোস্ট্যান্ডে অসমের কয়েকজন বাসিন্দা পাথর ছোড়েন। তাঁদের হাতে ছিল দা, লাঠিও। পালটা বাইরেংতের বাসিন্দারা সেখানে জড়ো হন। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও ৩০৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর অস্থায়ী বাঁশের ঘর এবং স্টল আগুন ধরিয়ে দেন। সেগুলি লায়লাপুরের বাসিন্দারা তৈরি করেছিলেন বলে জানিয়েছেন কোলাসিবের ডেপুটি কমিশনার।সেই ঘটনার পরই এলাকায় কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। উত্তেজনা প্রশমনের জন্য সোমবার লায়লাপুরে বৈঠকে বসেন দু'রাজ্যের আধিকারিকরা। ছিলেন কাছারের পুলিশ সুপার বনওয়ার লাল মীনা এবং কোলাসিবের পুলিশ সুপার বানলাফাকা রালতে। তাঁরা এলাকায় শান্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে একমত হন। একইসঙ্গে অবিলম্বে ট্রাক চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত নেন। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি পয়েন্ট থেকে অপর পয়েন্ট পর্যন্ত এসকর্ট করার বিষয়েও একমত হয়েছেন আধিকারিকরা। তবে এখনও এলাকায় উত্তেজনা আছে।অসমের সঙ্গে মিজোরামের ১৬৪.৬ কিলোমিটারের সীমান্ত আছে। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত অসমেরই অন্তর্গত ছিল মিজোরাম। তারপর তা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়। সেখান থেকে ১৯৮৭ সালে পৃথক রাজ্যের মর্যাদা পায় মিজোরাম। তারপর থেকেই দু'রাজ্যের মধ্যে মাঝেমধ্যে সীমান্তে সংঘর্ষ বিবাদ তৈরি হয়। শনিবারের সংঘর্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেয়াল।