দীর্ঘ পাঁচ দশক পর গত ২১ জানুয়ারি নিভে যায় অমর জওয়ান জ্যোতি। বিতর্ক সত্ত্বেও অমর জ্যোতির অনির্বাণ শিখা মিশে যায় ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’র প্রজ্বলিত অগ্নিশিখার সঙ্গে। এ꧑ই অমর জ্যোতির সামনেই উলটানো রাইফেল ও তার ওপর একটি হেলমেট ছিল। এবার সরে গেল সেই স্মারকও। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ✨আত্মত্যাগ করা ভারতীয় সেনাদের প্রতি শ্রদ্যাজ্ঞাপন করতে অমর জ্যোতি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
উলটানো রাইফেলের স্মারকটি ইন্ডিয়া গেটের সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে বসানো হয়েছে। সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরমবীর চক্র সম্মানপ্রাপ্ত সেনাদের আবক্ষ মূর্তির মাঝখানে রাখা হল উলটানো রাইফেল ও হেলমেট। কেন্দ্র জানিয়েছে, এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে নিহত সেনাদের স্মৃতিসৌধকে জাতীয় যুদ🐲্ধ স্মৃতিসৌধের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ তথা চিফ অফ স্টাফস কমিটির চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল বি আর কৃষ্ণ (বায়ুসেনা প্রধান) এবং বাকি দুই বাহিনীর প্রধানরা। লাদাখের শায়ক নদীতে সেনার গাড়ি পড়ে গিয়ে যে সাতজন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। তাঁদেরকে এই অুষ্ঠানে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
জানা গিয়েছে, একটি গাড়িতে করে রাইফেল ও হেলমেটটি সরানো হয়। এর আগে অমর জ্যোতির অনির্বাণ শিখা সরানো হয়েছিল ওয়ার মেমোরিয়ালে। উল্লেখ্য, ২০১৯-এর ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করেন এই জাতীয় যুদ্ধ স্মারক। স্বাধীনতা-পরবর্তী পর্যায়ে ভারতীয় সেনার আত্মবলিদানকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই স্মারক। কেন ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে মিশিয়ে দেওয়া হয় অমর জওয়ান জ্যোতি? কেন্দ্রের বক্তব্য, ইন্ডিয়া গেটে খোদাই করা ৯০ হাজার সেনার কেউই ১৯৭১ সালের যুদ্ধে অংশ নেননি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়ে শহিদ হওয়া জওয়ানদের নাম খোদাই করা সেখানে। যদিও অমর জ্যোতির উদ্দেশ্য ছিল ৭১-এর যুদ্ধে শহিদ জওয়ানদের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন। আর এই কারণেই ন্যাশনাল ওয়ার মেমোর♏িয়🎀ালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে অমর জওয়ান জ্যোতিকে।