কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি পদে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাক্য সেনকে দ্রুত নিয়োগ করার জন্য ফের একবার কেন্দ্রকে সুপারিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর হাই কোর্টের ওই দুই আইনজীবীর নাম বিচারপতি হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে ২৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের তরফে কলেজিয়ামের তরফে ওই সুপারিশে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই সুপারিশ অনুযায়ী এই দুই আইনজীবীকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেনি কেন্দ্র। কিন্তু আইন মন্ত্রক দু’জনের নামই ফেরত পাঠায়। কলেজিয়াম ফের ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর অমিতেশের নাম সুপারিশ করে। তা ফের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এই আবহে ফের একবার কেন্দ্রের কাছে অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাক্য সেনের নাম ফেরত পাঠাল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। পাশাপাশি সুপ্রিম কলেজিয়ামের স্পষ্ট বক্তব্য, এভাবে কেন্দ্র বারবার সুপারিশ ফেরত পাঠাতে পারে না। (আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে PIL মামলায় কলকাতা পুলিশ, ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে FIR করল সিবিআ💃ই)
এদিকে সমকামী আইনজীবী সৌরভ কৃপালকে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগ করার প্রক্রিয়াকেও দ্রুত সম্পন্ন করতে বলেছে সুপ্রিম কলেজিয়াম। উল্লেখ্য, নজিরবিহীবন ভাবে এই আইনজীবীদের নিয়ে কলেজিয়াম ও কেন্দ্রের যুক্তি, পালটা যুক্তি সংক্রান্ত বক্তব্য জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে কলেজিয়াম। বর্তমানে সুপ্রিম কলেজিয়ামের নেতৃত্বে রয়েꦐছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এছাড়া বিচারপতি সঞ্জয় কিষণ কউল এবং বিচারপতি কে এম জোসেফেরর মতো সিনিয়ার বিচারপতিরাও আছেন এই কলেজিয়ামে। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বলে, বারবার কেন আইন মন্ত্রক আপত্তি তুলছে তা পরিষ্কার নয়। কলেজিয়ামের বৈঠকের পর সুপ্রিম বিচারপতিরা জানান, এই আইনজীবীদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না করার পিছনে নতুন কোনও যুক্তি দেখাতে পারেনি কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, ♛অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা হলেন সুপ্রিম কোর্টের প্🌺রাক্তন বিচারপতি উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি ইউসি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন কমিশনই গোধরায় ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খারিজ করেছিল। এদিকে মেঘালয় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুড়তুতো ভাই হলেন অমিতেশ। অপরদিকে শাক্য সেন হলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল সেনের পুত্র।
এদিকে এর আগে স্বার্থের সংঘাতের যুক্তি দেখিয়ে সমকামী আইনজীবী সৌরভ কৃপালের নাম ফিরিয়েছিল কেন্দ্র। উল্লেখ্য, কৃপালের সঙ্গী একজন ইউরোপীয় এবং তিনি সুইজারল্যান্ডের দূতাবাসে কাজ করেন। ২০১৮ সালে প্রথমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নাম সুপারিশ করা হয়েছিল কৃপালের। সেই সময় কলেজিয়ামের সুপারিশ অগ্রাহ্য করেছিল কেন্দ্র। এরপরও ২০১৯-এর জানুয়ারি, এপ্রিল এবং গত বছরের অগস্টে কৃপালকে নিয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে কলেজিয়াম। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রের যুক্তির স্বপক্ষে তথ্য চেয়ে আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদকে চিঠি লেখেন তত্কালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। গোয়েন্দা তথ্যের ব্যাখ্যা পাঠান বিচারপতি বোবদে। তবে কেন্দ্রের তরফে একটি জবাবই দেওয়া হয়, 'কৃপালের সঙ্গী বিদেশি।' পরে ফের কৃপালের নাম ফেরত পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র। সেই প্রেক্ষিতে বর্তমান কলেজিয়াম বলে, কৃপালের সঙ্গী সুইৎজারল্যান্ডের নাগরিক। কলেজিয়ামের পর্যবেক্ষণ, সুইৎজারল্যান্ড ‘মিত্র রাষ্ট্র’। সাংবিধানিক পদাধিকারী অনে𒉰কেরই স্বামী বা স্ত্রী বিদেশের নাগরিক। সেই ক্ষেত্র🍒ে কৃপালের নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গীর নাগরিকত্ব বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক