পোষ্য পিট বুলের কামড়ে ছিঁড়ে গিয়েছিল পুরো কান। কোনও সামান্য চামড়ার সঙ্গে লেগে ঝুলছিল। রক্ত সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই যুবকের কান ফিরিয়ে দিলেন চিকিৎসকরা। প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে চলে সেই অস্ত্রোপচার। ওই যুবক হরিয়ানার ফরিদাবাদের বাসিন্দা। সেখানকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করে অসাধ্য সাধন ক✅রেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: পথ🉐কুকুরকে কি খেতে দেন? কাম🦄ড়ালে দায় কার? কী প্রস্তাব আদালতের!
জানা গিয়েছে, ফরিদাবাদের বাসিন্দা ওই যুবককের ব🗹াঁ কান এতটাই খারাপভাবে কুকুর আঘাত করেছিল যে সেটি ২ মিলিমিটারের কম চামড়ার সঙ্গে যুক্ত ছিল। এরপর তাকে তড়িঘড়ি অমৃতা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা বিচ্ছিন্ন কানে রক্ত প্রবাহ পুনরুদ্ধার করার ♒চেষ্টা করেন। সেখানে অস্ত্রোপচার করা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ✨এই অস্ত্রোপচারটিও খুবই সূক্ষ্ম ছিল। কারণ কানের রক্তনালীগুলি অত্যন্ত পাতলা এবং ০.৫ মিমি থেকে কম পুরু। অস্ত্রোপচার আরও জটিল ছিল কারণ কান কাটা হয়নি বরং খারাপভাবে চিবানো হয়েছিল। চিকিৎসকদের ধমনী এবং শিরার ক্ষতিগ্রস্থ অংশ প্রতিস্থাপন করতে হয়েছিল। শরীরের অন্য অংশ থেকে শিরার একটি ছোট টুকরো নিয়ে কানের রক্তনালীগুলিকে পুনরায় সংযোগ করতে হয়েছিল।
দু দফায় যুবকের কানের অস্ত্রোপচার হয়। এই অস্ত্রোপচারের জন্য ৪০ এক্স ম্যাগনিফিকেশন অপারেটিং মাইক্রোস্কোপ এবং অতি সℱূক্ষ্ম অস্ত্রোপচারের যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এই জটিল অপারেশন দুটি ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথম অস্ত্রোপচারটি ৬ ঘণ্টা এবং দ্বিতীয়টি ৫ ঘণ্টা ধরে চলে। চিকিৎসকরা জানান, এই অপারেশনে সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল এই ধরনের পাতলা রক্তনালীকে সংযুক্ত করা। হাসপাতালের প্লাস্টিক অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারির বিশেষজ্ঞ এবং সহকারী অধ্যাপক দেবজ্যোতি গুইন জানান, প্রথমে যে ধমনীটি সংযুক্ত করা হয় তা পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহ পাচ্ছিল না। তাই আরও ভালো রক্ত সরবরাহের জন্য আরেকটি ধমনী সংযোগ করতে হয়েছিল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অস্ত্রোপচারের পর র🐟োগীকে বেশ কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণের জন্য রাখা হয়েছিল। তার কানে রক্ত সরবরাহ ঠিকমতো হচ্ছিল না। রোগী যাতে কোনও ধরনের সংক্রমণে না ভোগেন সে জন্য তাকে অ্যান্টি-রেবিস ইনজেকশন ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধও দেওয়া হয়। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের মতে, এখন তার কান সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছে এবং রক্ত চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।যুবকের কথায়, ‘আমার কান ফিরে পাওয়া আমার নিজের একটি অংশ ফিরে পাওয়ার মতো মনে হয়। আমি আতঙ্কিত ছিলাম যে আমি সারা জীবনের জন্য বিকৃত হয়ে যাব।’