পুলিশ হেফাজতে বাবা ও ছেলের মৃত্যু কেন্দ্র করে উত্তাল হল তামিল নাডুর তুতুকুডি (পূর্বতন তুতিকোরিন) জেলা। অভিযোগ, পুলিশের অমানবিক অত্যাচারের ফলেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবিꦕ, পুলিশি হেফাজতে তাঁদের উপরে মাত্রাতিরিক্ত যৌন নিগ্রহই মৃত্যুর কারণ।
গত ১৯ জুন তাঁদের মোবাইল ফোনের দ🔯োকান থেকে পি জয়রাজ (৫৯) এবং তাঁর ছেলে জে ফেনিক্সকে (৩১) জেরা করার উদ্দেশে তুলে নিয়ে যায় সাথানকুলাম থানার পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে বেধড়ক মারধরের জেরে দুজনেই অসুস্থ হলে ২২ জুন সন্ধ্যায় তাঁদের ভরতি করা হয় কোভিলপট্টি জেনা🔯রেল হাসপাতালে। সেই রাতেই মারা যান ফেনিক্স এবং তার পরের দিন সকালে জয়রাজ।
চেন্নাইয়ের সংবাদ পোর্টাল ‘দ্য ফেডেরাল’ দাবি করেছে যে, জেরা করার সময় দুই নিহতের উপরে অমানুষিক যৌন নিপীড়ণ করে পুলিশ। পোর্টালে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ২০ জুন সকালে থানার ꦦহাজত থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে জয়রাজ ও ফেনিক্সের মলদ্বার থেকে প্রবল রক্তপাত হতে দেখা গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার পথে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে তাঁদের সাত বার রক্তেভেজা লুঙ্গি বদলাতে হয়। সেই সঙ্গে মলদ্বারে অসহ্য যন্ত্রণার কথাও জ🐽ানান বাবা ও ছেলে।
অভিযোগ, হাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক উপস্থিত পুলিশ ইন্সপেক🌳্টরের চাপে তাঁদের সুস্থ বলে ঘোষণা করেন। এর পর তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় দায়রা বিচারপতির কাছে। কিন্তু বার বার পুলিশের হুমকি শোনার পরে তাঁকেও কিছু জানানোর সাহস করেননি জয়রাজরা।
থানায় বসে থাকা ফেনিক্সের কয়েক জন বন্ধু দাবি করেছেন, সারারাত হাজত থেকে দুই জনের আর্তনাদ 🌄ভেসে এসেছিল। এক স্থানীয় বাসিন্দার মতে, থানার ৫০০ মিটার দূর থেকেও তীব্র আর্তশ্বর শোনা গিয়েছিল সেই রাতে।
পুলিশ হেফাজতে নির্মম শারীরিক অত্যাচারে দুই ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে গোটা তুতুকোডি জেলা ক্ষোভে ফুটছে। বুধবার বেশ কয়েক জায়গায় এই নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। তার দজেরে ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের কাছে সবিস্তারে রিপোর্ট তল♔ব করেছে ম্যাড্রাস হাই কোর্ট।
তামিল নাডুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী বিচারবিভাগীয় তদন্তের ভিত্তিতে হাই কোর্টের মাদুরাই বেঞ্চের নির্দেশ মেনে আইনি ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মীকে ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং এক ইন্সপেক্টরকে কম্পালসরি ওয়েটিং-এ রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পালানিস্বামী। সেই সঙ্গে দুই নিহতের পরিবারপিছু ২০ লাখ টাকা সাহায্যের ঘোষণা𓂃ও তিনি করেন।
এ দিকে নিহত জয়রাজ ও ফেনিক্সের পরিবারের তরফে ঘটনার পরে বদলি হওয়া দুই সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে হত্যামামলা দায়ের করাඣর দাবি জানিয়েছে। এই মর্মে সরকারি আশ্বাস না পেলে নিহতদের দেহ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন আত্মীয়রা।
পুলিশ হেফাজতে দুই জনের মৃত্যুর অনুসন্ধানের দাবি জানিয়ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚেছে ডিএমকে ও এআইডিএমকে-র মতো রাজনৈতিক দল। দুই দলের তরফেই নিহতদের পরিবারপিছু ২৫ লাখ টাকা সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে।