চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে৷ বিএনপি নেতা-সহ ১৫৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৭ জনকে৷ ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শের-ই-বাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সি বলেন, ‘মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ দুটি এবং পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে৷ শের-ই-বাংলা নগর থানায় মঙ্গলবার রাতে এসব মামলা দায়ের করা হয়৷’'মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, তাদের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করায় তাদের ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে৷ সরকারি কাজে বাধা, মারধরের অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে অন্য মামলাটি করা হয়েছে৷' পুলিশের করা মামলায় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান-সহ ১৫৫ জনকে এবং মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের মামলায় অজ্ঞাতসংখ্যক ব্যক্তিকে আসামি করার কথা জানিয়ে ওসি বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে ৪৭ জনকে গ্রেফতার করেছি৷ ধৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷’ঢাকা মহানগর বিএনপির নবগঠিত দুই কমিটির নেতৃত্বের সঙ্গে কয়েক হাজার কর্মী মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য চন্দ্রিমা উদ্যানে সামনে জড়ো হলে পুলিশ বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষ শুরু হয়৷ পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেটে ঢাকা মহানগর বিএনপির উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আমিনুল হক-সহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন৷ শের-ই-বাংলা নগর, ফার্মগেট এলাকার আশপাশের রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়৷ বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা রাস্তায় নেমে বেশকিছু যানবাহন ভাঙচুর করেন৷ বিএনপিকর্মীরা বিনা উসকানিতে পুলিশের উপর হামলা চালায় বলে দাবি করেছেন পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি শহিদুল্লাহ৷ অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির অভিযোগ করে বলেছেন, পুলিশই বিনা উসকানিতে তার দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে৷ ওসি জানেম আলম মুন্সি বলেন, 'সেখানে যাওয়ার জন্য তারা ৫০ জনের অনুমতি নিয়েছে৷ কিন্তু শতশত লোক আসে এবং পুলিশের কাজে বাধা দেয়৷'