অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশ জুড়ে। হাসিনা দেশ ছাড়তেই গণভবনে জনতার প্রবে💦শ ও তৎপরবর্তী সময়ের নানান ঘটনা দেখেছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ। এর কয়েক সপ্তাহ আগেও বাংলাদেশে মৃত্যু মিছিল দেখা গিয়েছে। হাসিনার দেশ ছাড়ার দিনেও শতাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, ভারতের সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশে ৩ টি পর পর জেল ভেঙে বেরিয়েছে কয়েদিরা। ফলে স্বভাবতই সতর্কতা ধরে রাখছে বিএসএফ।
বাংলাদেশ জুড়ে কার্যত গত ৩ দিনে ভয়াবহ অরাজক পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন থেকে বহু মূল্যবান জিনিস খোলাখুলি লুঠ হতে দেখা গিয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুজিবর রহমানের মূর্তি ভাঙা হয়েছে। বহু রিপোর্ট দাবি করছে, সেখাꦇনে সংখ্যা লঘুদের ওপর চরম অত্যাচার হয়েছে। ধর্মীয়স্থানে চলেছে ভাঙচুর। কার্যত এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় নেই পুলিশ। অন্যদিকে, ভারত সীমান্তের কাছে তিনটি পর পর জেলে ভাঙচুর চলেছে। ভেঙে পড়েছে সেদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের নানান সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শরণার্থীরা প্রবেশ করতে চাইছেন। বুধবারই কোচবিহার, জলপাইগুড়ি সীমান্তে কাতারে কাতারে মানুষ দেখা গিয়েছে সীমান্তের ওপারে দাঁড়িয়ে থাকতে। তবে বিএসএফ জানিয়েছে, ক♉োনও ফোর্স ব্যবহার নান করেই সীমান্তে বিশাল সংখ্যক বাংলাদেশির প্রবেশ র♋োখা গিয়েছে। দুপুর ১ টা নাগাদ সেখানে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি জড়ো হয়েছিলেন বলেও খবর।
এদিকে, মঙ্গলবার বাংলাদেশের ঢাকার কাছে গাজিপুরে কাশিমপুর সেন্ট্রাল জেল ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছে ২০০ কয়েদি। জানা যাচ্ছে, গত ২ বছরে যে সমস্ত জামাত-এ-ইসলামি বন্দিরা সেখানে ছিল, তারা সকলে জেল ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছে সেখান থেকে। বুধবার কুষ্টিয়ায় জেল আধিকারিকদের হামলা করে সেখান থেকে ৩০ বন্দি বেরিয়ে গিয়েছে। সোমবার শেহরপুরের জেলা কারাগার থেকে ৫০০ কয়েদি পালিয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবারই দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিন🐼া। আর সোমꦬবার থেকেই এই পরিস্থিতি।
এর আগে, সোমবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র শিবিরের ডাকে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ র ডাক দেওয়া হয়। তার আগে ৪ অগস্ট বাংলাদেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক ছিল। সেই পরিস্থিতিতে ছাত্রদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ, সেনা নামে রাস্তায়। ব্যাপক সংঘর্ষে সেদিন প্রায় শতাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতর সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। শেখ হাসিনা▨র দেশ ছাড়ার দিনেও মৃত্যু হয়েছে ১০০ জনের বেশি মানুষের। বহু ঘরে, বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করা হয়। শিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। প্রাক্তন ক্রিকেটার মশরফি মোর্তাজার বাড়িতেও আগ𝔉ুন লাগানো হয়।