ফেনীর পুজো উদযাপন পরিষদের কর্মসূচিতে হামলার পর মন্দির ও হিন্দুদের দোকানপাট ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় পুলিশ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে৷ দু'দিনের ঘটনায় ধৃত পাঁচজনকে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছে পুলিশ৷ ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেন ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সোমবার সন্ধ্যায় তাদের ফেনীর বিচারক হাকিম আদালতে হাজির করে পাঁচজনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে৷দুর্গাপুজো চলাকালীন কুমিল্লার একটি পুজোমণ্ডপে কোরান অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে তাণ্ডব শুরুর পর তা ফেনী-সহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে৷ শনিবার ফেনীতে পুজো উদযাপন পরিষদের কর্মসূচিতে হামলার পর তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে৷ঘটনার পর সে রাতেই কয়েকটি মন্দির এবং হিন্দুদের দোকানপাটে ভাঙচুর, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়৷ দীর্ঘ সংঘর্ষে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন-সহ ৪০ জন আহত হন৷ এই ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় রবিবার পুলিশের করা দুটি মামলায় অজ্ঞাতনামা প্রায় ৪০০ জনকে আসামী করা হয়েছে৷ সেদিন রাতেই পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ফেনী পুরসভার মাস্টারপাড়ার ৪৬ বছরের আবদুল মান্নান, ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের পূর্ব মোটবী গ্রামের ২০ বছরের এনামুল হক রাকিব ও ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দক্ষিণ ডেমরা এলাকার মো. মিরাজকে (৩৩) গ্রেফতার করেছে৷ র্যাব ফেনী পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম রামপুরের বাসিন্দা আহনাফ তৌসিফ মাহমুদ লাবিব (২২), কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার আমান সরকার বাজার এলাকার ফয়সল আহম্মেদ আল আমিন (১৯) ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের হাফেজ আবদুস সামাদ জুনায়েদকে (১৯) এর আগে গ্রেফতার করেছে র্যাব৷র্যাবের মামলায় উস্কানিদাতা, হামলা পরিকল্পনাকারী ও নাশকতাকারীদের হোতা হিসেবে তৌসিফ মাহমুদ লাবিবকে বলা হয়৷ বিডিনিউজকে র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জুনায়েদ জাহেদ বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাবিব বলেছে, শনিবার সন্ধ্যায় ফেনী বড় মসজিদে মাগরিবের নমাজ পড়ে দুই বন্ধু মুন্না ও সফিকে নিয়ে এক বোতল পেট্রোলসহ সে কালীমন্দিরে যান৷ সেখানে মন্দিরের পুরোহিতকে মারধর এবং মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায় তারা৷' ‘একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এসব হামলা করছে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে৷ গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে৷' ফেনীতে গিয়ে একথা বলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন৷ (বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)