জিম করবেট এককালে নৈনিতালসহ উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ খেকো বাঘ মেরে বেরিয়েছিলেন। তাঁর সম্মানেই নৈনিতালে༒র জাতীয় উদ্যানের নামকরণ। সেই করবেটভূমেই এবার এক বাঙালি বন্দুক হাতে নেমেছেন নরখাদক বাঘকে মারতে। জানা গিয়েছে, বিদত কয়েক মাসে নৈনিতাল জেলায় ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚছয় জন মানুষকে মেরেছে এই বাঘ। আর তাই সেই বাঘ মারতে তিনজন শুটারকে নিয়োগ করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। এই শুটারদের মধ্যে একজন আশিস দাশগুপ্ত। তাছাড়া আরও দুই শুটার হলেন কিরনেশ জঙ এবং সৈয়দ আলি হাদি।
নৈনিতাল জেলার রামনগর ডিভিশনের বনবিভাগ কর্তা সিএস যোশী এই বিষয়ে বলেন, ‘প্রধান বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেনের অনুমতির পরে আমরা বাঘটিকে নির্মূল করতে তিনজন শুটারকে নিয়োগ করেছি। গত তিন মাসে ছয়টি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী এই বাঘ।’ ডিসেম্বর থেকে যেখ♏ানে যেখানে ছয়জন প্রাণ হারিয়েছে সেই বনাঞ্চলগুলিতে আটটি খাঁচা ও ৭২টি ক্যামেরা ট্র্যাপ বসানো হয়েছে। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে ভারতে বাঘ মারা যেতে পারে। করবেট টাইগার রিজার্ভে ২৩১টি বাঘ রয়েছে। তাছাড়া রামনগর বন বিভাগসহ আশেপাশের অঞ্চলে প্রায় ৩৫টি বাঘ রয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২৯ ডিসেম্বর। কাঠগোদামের দামুওয়াধুঙ্গা গ্রামের মুকেশ এই বাঘটির শি🍌কার হয়। দ্বিতীয় ঘটনাটি ১৩ জানুয়ারির। তাঙ্গাদ গ্রামের নন্দী সানওয়াল বাঘের কবলে পড়ে। ১৭ জানুয়ারি ভাজুনিয়া গ্রামের নাথু লাল তার জীবন হারায় বাঘের মুখে পড়ে। পানিয়ালি গ্রামের জানকী দেবী ২১ ফেব্রুয়ারি মারা যায় বাঘের আক্রমণে। এক মাস পর ভাদুনি গ্রামের ধনুলি দেবী শিকার হয় এই নরখাদকের। গত বৃহস্পতিবার কাঠগোদামের দামুওয়াধুঙ্গার কুমায়ুন কলোনীর ইন্দিরা দেবী মারা যায় বাꦡঘের হামলায়।